রমজানের প্রথম শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে দিনই নারায়ণগঞ্জ শহরে জমজমাট হয়ে উঠেছে ইফতারী বাজার। প্রতি বছরের মতোই এবারও ঐতিহ্যবাহী ইফতারীকে তুলে ধরতে রোজার প্রথম দিন থেকেই তুমুল ব্যস্ত সময় কাটান দোকানীরা। পাশাপাশি রকমারি ও নানাপদের ইফতার সামগ্রী কিনতে নগরীর অভিজাত রেস্টুরেন্ট গুলোতে ভিড় করেন ক্রেতারাও।
সাধারণ ছোলা-মুড়ি থেকে শুরু করে কাবাব, টিকিয়া, রোস্ট, পোলাও, শাহী হালিম, ফল-মূলসহ নানা খাবার। আর হরেক রকম আয়োজন রয়েছে রেস্টুরেন্ট গুলো থেকে শুরু করে ফুটপাতে বসা ইফতারের দোকানেও। রমজানে সাময়িক এই ইফতারী ব্যবসায় ফুডব্যবসায়ী ছাড়াও জড়িত হয়েছেন বিভিন্ন অভিজাত পেশা ও শ্রেণীর মানুষজন।
এসব ইফতার সামগ্রীর মূল্য দেখে বোঝা যায় কোনটি উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত বা নিম্নমধ্যবিত্তের।রোজার শুরুতেই সব শ্রেণির ক্রেতার আগমন হচ্ছে এসব দোকানে।
শুক্রবার ( ১৫ মার্চ ) বিকেলে শহরের সুইট নেশন,প্যারিস বাগেট, মনির রেস্তোরাঁ, সুগন্ধা প্লাস, বৈশাখী রেস্তোরাঁ, ঘরোয়া, আনন্দ, গ্রেন্ড হল, মেলা ফুড ভিলেজ, হোয়াইট হাউজ, রোজা বেকারীসহ বিভিন্ন ফাস্টফুডের দোকানে প্রচলিত ইফতারির পাশাপাশি নানান স্বাদের বাহারি আয়োজন সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা।বাহারি এসব ইফতারির স্বাদ নিতে জুম্মার নামাজের পর থেকেই দূর-দূরান্ত থেকে ভোজনবিলাসী নারী-পুরুষরা ছুটে এসেছেন।
শহরের ইফতার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, জিলাপি কালাই আইটেম ২৪০ টাকা, আটার জিলাপি ২০০ টাকা, বড় সাইজের জিলাপি ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস শিঙারা ১৫ টাকা , সমুচা ১৫ টাকা, বেগুনি ১০ টাকা, আলুচপ ১০ টাকা, ডিমচপ ৩০ টাকা, লালশাক-কলমি শাক ও পুই শাকের বড়া প্রতিটি ১৫ টাকা, চিকেন চাপ ১৫০ টাকা, বিফ চাপ ১৮০ টাকা, জালি কাবার প্রতি পিস ৬০ টাকা, শামি কাবার প্রতি পিছ ৪০ টাকা, চিকেন পাকুড়া প্রতি পিস ২০ টাকা।
এছাড়া ঘুমনি ১০০ টাকা কেজি, ছোলা ২০০ থেকে ২৭০ টাকা, গরুর টিকা ৬০ ও মুরগির টিকা ৫০ টাকা, সাসলিক ৭০ টাকা, কোয়েল পাখির রোস্ট ১০০ থেকে ১৩০ টাকা, চিকেন রোল ৮০ টাকা, আস্ত মুরগি ৪৫০ টাকা, পনির ৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়াও পানীয় আইটেমের মধ্যে পেস্তা শরবত ২৮০ টাকা লিটার, মাঠা ১২০ টাকা লিটার, বোরহানি ১৫০ টাকা লিটার, ফালুদা বড় বাটি ৩০০ টাকা, ফালুদা ছোট বাটি ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।