নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে নৌ-পুলিশ। এ সময় অবৈধভাবে চলাচল করা ১৩টি বাল্কহেডকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় মামলা দেয়া হয়েছে।
আটক করা হয়েছে আরও ১৮টি বাল্কহেডকে। এদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই চলছে। কাগজপত্রে ত্রুটি থাকলে এদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে জানিয়েছেন নৌ পুলিশ কর্মকর্তারা।
সোমবার (২১ আগষ্ট) বিকেল সাড়ে ৪ টায় থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ অভিযান। সদর নৌ থানা এলাকা থেকে মুক্তারপুর পর্যন্ত এলাকাজুড়ে শীতলক্ষ্যা নদীতে চলে এ অভিযান। নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ থানা পুলিশ এ অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ নৌ পুলিশ সুপার আহাদুজ্জামান ও মীনা মাহমুদা। অভিযান শেষে নৌ পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা বলেন, অবৈধ বাল্কহেডের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছি। আমরা ৩টি অঞ্চলে অভিযান করছি। এ অঞ্চলগুলো হলো নারায়ণগঞ্জ সদর, বন্দর কলাগাছিয়া ও মুক্তারপুর। এ ৩টি স্থানে মোট ১৩টি বাল্কহেডকে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র না থাকায় মামলা দেয়া হয়েছে। আরও ১৮টি বালগেটকে আটক করা হয়েছে, এদের কাগজ পত্র যাচাই-বাছাই চলছে। কাগজ পত্রে ত্রুটি থাকলে, এদেরকেও মামলার আওতায় আনা হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মিনা মাহমুদা বলেন, নদীপথে যাতে কোন প্রকার অবৈধ বাল্কহেড চলাচল করতে না পারে, সেজন্য আমাদের এ অভিযান চলমান থাকবে। আপনারা জানেন, সন্ধ্যার ৬ টার পর নদীতে কোন ধরনের বাল্কহেড চলতে পারবেনা। যদি চলে, তাহলে এসব বাল্কহেডের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, নৌ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেলাল উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম, এস.আই রেজাউল করিম ও মুক্তাপুর নৌ ফাড়ির ইনচার্জ আব্দুল ছোবাহান সহ আরও অনেকে।