মুসলমান ধর্মালম্বীদের দ্বিতীয় প্রধান বৃহৎ উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদের বাকি আর মাত্র অল্পকিছু দিন। এরই মধ্যে ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী হাটে আসতে শুরু করেছে কোরবানীর পশু।
আগামী ২৯শে জুন অনুষ্ঠিতব্য কোরবানির ঈদের পূর্বে নিয়ম অনুযায়ী প্রশাসনের ইজারাপ্রাপ্ত সকল হাটেই আগামী ২৩জুন থেকে পশু বেচাকেনার দিনক্ষণ থাকলেও ইতিমধ্যেই সড়ক ও নৌপথে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন সাইজের গরু, মহিষ, ছাগল নিয়ে আসতে শুরু করে দিয়েছেন বেপারীরা।
পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ সার্বিক সুবিধা প্রদানের আশ্বাস দিয়ে কোরবানির হাটগুলোতে বেপারীদের আসতে নিয়মিত মাইকিং করছেন হাটের ইজারাদাররা। পাশাপাশি ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে ‘বিরাট গরু-ছাগলের হাট’ বলে মাইকে প্রতিনিয়ত চেঁচিয়ে যাচ্ছেন হাটের দায়িত্বরত স্বেচ্ছাসেবকরা। তবে হাট গুলোতে পশু আসতে থাকলেও এখনো জমে উঠেনি বেচাকেনা।
সরজমিনে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৭নং ওয়ার্ডে নাভানা সিটির বালুর মাঠ, ৮নং ওয়ার্ডে গোদনাইল ইব্রাহীম টেক্সটাইল মিলস এর খালি মাঠ, ৯নং ওয়ার্ডে জালকুড়ি উত্তর পাড়া দশ পাইপ সংলগ্ন মোতালিব বেপারীর বালুর মাঠ, ফতুল্লা বাজার পশুর হাট, গোগনগর ইউনিয়ের নতুন সৈয়দপুর, কাশিপুর, পাগলা তালতলা, সাইনবোর্ড, বন্দরের সোনাকান্দা, নবীগঞ্জ বুধবারের হাটসহ বিভিন্ন অস্থায়ী গুলোতে গিয়ে দেখাগেছে, এই হাট গুলোতে ঘন্টায় ঘন্টায় বিভিন্ন স্থান থেকে বেপারীরা গরু-ছাগল নিয়ে আসলেও ক্রেতাদের তেমন দেখা মিলেনি কোথাও।
এদিকে ঈদের পূর্বে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার হওয়াতে হাটগুলোতে ক্রেতার তুলনায় দর্শনার্থীদেরই ভীড় বেশী দেখা যায়।
কেউ কেউ আবার পছন্দের গরুটির দাম নিয়ে দরকষাকষি করলেও বেশীরভাগ ক্রেতাই জায়গা সংকুলানের কারনে ঈদের আগমুর্হুতে পশু কিনবেন বলে জানান। তবে বেপারীরা বলছেন, আশা করা যায় আগামী দু’একদিনের মধ্যেই বেচাকেনা শুরু হয়ে যাবে। যদি ভারতীয় গরু না আসে তবে এবার ভাল দামও পাবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন বেপারীরা।
এদিকে হাটের পশুসহ বেপারীদের থাকার সুবিদার্থে অনেক হাটেই ডেকোরেটর কর্মীদের সামিয়ানা টাঙাতে দেখাগেছে। এছাড়াও সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য চলছে লাইটিংয়ের কাজ। পশুখাদ্য যেমন, খড় ও বিভিন্ন প্রজাতির ঘাস, কাঁঠাল পাতা সংগ্রহ করে রাখা হচ্ছে হাটে।
পশু কেনার পর যেন কেউ হাসলি না দিয়ে বের হতে না পারেন সেজন্য হাটের প্রবেশ মুখে ইজারাদাররা হাসলি কাউন্টার বসিয়েছে। পাশাপাশি সার্বিক ভাবে সহযোগিতায় স্বেচ্ছাসেবকও নিয়োজিত করা হয়েছে হাটগুলোতে।