নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

শনিবার,

২৩ নভেম্বর ২০২৪

নাসিক এলাকায় বসছে ১৭টি কোরবানির পশুর হাট 

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:২২:০০, ২২ জুন ২০২৩

নাসিক এলাকায় বসছে ১৭টি কোরবানির পশুর হাট 

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) এলাকায় পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে এবার বসছে ১৭ টি অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট।  


এরআগে নাসিক কর্তৃপক্ষ ১৮ টি পশুর হাটের দরপত্র আহবান করলেও পরে নাসিক ৩ নং ওয়ার্ডের মাদানী নগর ব্রীজ সংলগ্ন আল আমিন গার্মেন্টস এর পশ্চিম পার্শ্বের বালুর মাঠের হাটটি বাতিল করে দেয়। পরে ১৭ টি অস্থায়ী পশুর হাট ইজারা দিয়েছে।  


এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৬ লাখ টাকা দিয়ে ২০ নং ওয়ার্ড সোনাকান্দা মাঠের পশ্চিম পাশের খালি জায়গায় হাটের ইজারা পেয়েছেন সাগর এবং সর্বনিম্ন ১ লাখ ৬০ হাজার টাকায় ২৪ নং ওয়ার্ডের কাইতাখালি জনাব গোলন্দাজ সাহেবের খালি জায়গা হাটের ইজারা পেয়েছেন আবদুর রশিদ।


গতবারের মতো এবারও শহরের ভিতরে কোন হাটের ইজারা আহবান করা হয়নি। সিটি কর্পোরেশনের সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চলে ১০ টি ও কদমরসুল অঞ্চলে ৮ টি হাটের অনুমতি দেয় নাসিক কর্তৃপক্ষ। 


সিটি করপোরেশন সূত্র জানিয়েছে, ৫ শতাংশ হারে হাসিল আদায়ের শর্তে কোরবানি পশু হাটের ইজারা দেয়া হয়েছে। কোন ভাবেই তার বেশি অর্থ আদায় করা যাবে না।


ইজারা দেয়া হাটের মধ্যে ১ নং ওয়ার্ড সি আই খোলা বালুর মাঠ ৪ লাখ টাকায় ইজারা পেয়েছেন সালাম। ৩ ন ওয়ার্ড সানারপাড় লিথি গার্মেন্টস সংলগ্ন জনাব মৌলভী মো. ফজলুর রহমান এর খালি জায়গা আক্তার হোসেন মোল্লা ১১ লাখ ১০ হাজার টাকায়। 


৪ নং ওয়ার্ড তাজ জুট বেলিং কোং লিঃ এর পশ্চিম পাশের খালি মাঠ ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকায় পেয়েছেন শফিকুল ইসলাম।  ৪ নং ওয়ার্ড টাইগার ওয়ার রি-রোলিং মিলস এর মাঠ ১৩ লাখ ৩০ হাজার ১০০ টাকায় আব্দুল কাইয়ুম, ৫ নং ওয়ার্ড ওমরপুরস্থ সিদ্ধিরগঞ্জ বাজার রোডের পার্শ্বে জালাল উদ্দিন সাহেবের বালুর মাঠ হাজী আনিসুর রহমান পেয়েছন ৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকায়। 

 

৭ নং ওয়ার্ড নাভানা সিটির বালুর মাঠ রবিন হোসেন পেয়েছেন ২৫ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ টাকায়, ৮ নং ওয়ার্ড গোদনাইল ইব্রাহীম টেক্সটাইল মিলস এর খালি মাঠ (রেল লাইনের পশ্চিম অংশ) ২৩ লাখ ৫৩ হাজার ২০০ টাকায় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শাহ আলম। 


৯ নং ওয়ার্ডের জালকুড়ি উত্তর পাড়া দশ পাইপ সংলগ্ন মোতালিব বেপারীর বালুর মাঠ ৩ লাখ ২০ হাজার টাকায় পেয়েছেন সালাহ উদ্দিন। ৯ নং ওয়ার্ডের ওয়াপদা রোডের উত্তর পার্শ্বে হাসনাত হিরত আলী মসজিদ সংলগ্ন বালুর মাঠ ৬ লাখ টাকায় শামীম আহমেদ জোসেব।


সিটি কর্পোরেশনের কদমরসুল অংশের ১৯ নং ওয়ার্ডের সামিট পাওয়ার প্ল্যান্টের এর পেছনে খালি জায়গায় অস্থায়ী পশুর হাট স্থানীয় কাউন্সিলর পুত্র আ. কাদের মাহমুদ চৌধুরী ৬ লাখ ১১১ টাকায় পেয়েছেন। 


২০ নং ওয়ার্ড সোনাকান্দা মাঠের পশ্চিম পাশের খালি জায়গায় ৩৬ লাখ টাকায় পেয়েছেন সাগর। ২১ নং ওয়ার্ডের স্কুল ঘাট সংলগ্ন বালুর মাঠ ১৪ লাখ ৪০ হাজার টাকায় পেয়েছেন জাতীয় পার্টির নেতা শাহ আলম। ২৩ নং ওয়ার্ড পূর্বপাড়া লতিফ হাজির মোড় সংলগ্ন ব্যক্তিমালিকানাধীন খালি জায়গা ২ লাখ ৫ হাজার টাকায় শফিকুল ইসলাম। 


২৩ নং ওয়ার্ডের আলী আহম্মদ চুনকা সড়কের কাবিলের মোড় সংলগ্ন জনাব কাশেম জামাল সাহেবের খালি জায়গা পেয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম ৫ লাখ টাকায়। ২৪ নং ওয়ার্ড কাইতাখালি জনাব গোলন্দাজ সাহেবের খালি জায়গা ১ লাখ ৬০ হাজার আবদুর রশিদ। 


২৪ নং ওয়ার্ডের নবীগঞ্জ গুদাড়াঘাট সংলগ্ন খালি জায়গা (খেলার মাঠ ব্যতিত) ১১ লাখ ২০ হাজার টাকায় শফি উল্লাহ। ২৫ নং ওয়ার্ডের খেয়াঘাট সংলগ্ন খালি জায়গা পেয়েছেন সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল মামুন ২০ লাখ।


স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে ঈদ পূর্ববর্তী ৩ দিনের জন্য এইসব হাট পরিচালনার কথা বলা হয়েছে।
 

সম্পর্কিত বিষয়: