নারায়ণগঞ্জ শহরের একটি ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে মোস্তফা মিজানুর রহমান নামে এক ভূয়া এমবিবিএস ডাক্তারকে গ্রেপ্তার করে এক বছরের কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
একই সাথে পরীক্ষা নিরীক্ষার কাজে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ ব্যবহারসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে ওই প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এর তথ্যের ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধ কার্যক্রম প্রতিরোধে রবিবার দুপুরে শহরের ডিআইটি মার্কেটে সুপার ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নুশরাত আরা খানমের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতের এই অভিযানে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযান চলাকালে ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের ভূয়া এমবিবিএস ডিগ্রীধারী সনোলোজিস্ট কনসালটেন্ট ডাক্তার মোস্তফা মিজানুর রহমানের কাছে তার সনদপত্র দেখতে চান নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।
পরে তিনি বৈধ কোন সনদপত্র দেখাতে না পারাসহ নিজের অপরাধ স্বীকার করলে নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট তাকে গ্রেপ্তারে নির্দেশ দিয়ে এক বছরের কারাদন্ড প্রদান করেন।
এছাড়া ডায়াগনোস্টিক সেন্টারটিতে আলট্রাসনোগ্রাম বিভাগে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নানা অনিয়মের পাশাপাশি পরীক্ষা নিরীক্ষার কাজে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ ব্যবহারেরও প্রমান পাওয়া যায়। এসব অপরাধে এর মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানাসহ প্রতিষ্ঠানটি সীলগালা করে দেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।
অভিযান শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. শহীদুল ইসলাম স্বপন জানান, গ্রেপ্তারকৃত ভূয়া ডাক্তার মিজানুর রহমান নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মিজমিজি পাইনাদি এলাকার বাসিন্দা।
এমবিবিএস পাশা না করেও তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সনোলোজিস্ট কনসালটেন্ট পরিচয়ে চাকরি নিয়ে রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার ভুল রিপোর্ট দিয়ে আসছেন।
ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে গ্রেপ্তারের পর তিনি নিজের অপরাধ স্বীকার করলে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তাকে সাজা প্রদান করেন।