নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

রোববার,

২৪ নভেম্বর ২০২৪

ত্রিপক্ষীয় চুক্তি বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন দাবিতে 

ফতুল্লা ফেব্রিকস গার্মেন্টস শ্রমিকদের বিক্ষোভ 

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:২১:০৩, ২১ মার্চ ২০২৩

ফতুল্লা ফেব্রিকস গার্মেন্টস শ্রমিকদের বিক্ষোভ 

২০১৮ সালে সরকার ঘোষিত নিম্নতম মজুরি ৮০০০ টাকা বাস্তবায়ন, বকেয়া মজুরি পরিশোধ, শ্রম আইন অনুযায়ী ৭ কর্মদিবসে বেতন পরিশোধ, অবৈধভাবে ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের চাকরিতে পুনর্বহালসহ ১৩ দফা দাবির ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবিতে  ফতুল্লা ফেব্রিকস গার্মেন্টস শ্রমিকরা বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছ। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৩টায় বিকেএমইএ কার্যালয়ের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ ও শহরে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। 


সমাবেশ চলাকালে ফতুল্লা ফেব্রিকস কারখানার শ্রমিক রায়হানের সভাপতিত্বে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আবু নাঈম খান বিপ্লব, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদ, রি-রোলিং স্টিল মিলস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক এস এম কাদির, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শরীফ, সংগঠক কামাল হোসেন, জেলার সহ-সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সোহাগ, কাঁচপুর শিল্পাঞ্চল শাখার সহ-সভাপতি আনোয়ার খান, কারখানার শ্রমিক মাসুদ রানা, ইব্রাহিম, রিফাত, রিপন, তানজিলা, রাবেয়া, প্রিয়াংকা প্রমূখ।


নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ১৪ মার্চ ২০২৩ তারিখে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ শাখা অফিসে সংকট নিরসনের জন্য ত্রিপক্ষীয় গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বৈঠকে মালিক কর্তৃপক্ষ শ্রমিকের উত্থাপিত ১৩ দফা দাবি মেনে নেয় এবং চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করে। কিন্তু মালিক কর্তৃপক্ষ শ্রম অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের যোগসাজশে, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বেআইনিভাবে শ্রমিক ছাঁটাই করে। শ্রমিকদের থেকে জোর করে বিভিন্ন কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে বের করে দেয়।


নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, গার্মেন্টস মালিক কর্তৃপক্ষ সাড়ে চার বছর আগে বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত নিম্নতম মজুরি ৮০০০ টাকা এখনো বাস্তবায়ন করে নাই। মালিক শ্রম আইন মানে না। আইন অনুযায়ী সাত কর্মদিবসে বেতন পরিশোধ করে না। সবেতন মাতৃত্বকালীন সুবিধা নারী শ্রমিকদের প্রদান করে না। অর্জিত ছুটির টাকা পরিশোধ করে না। কারখানার সকল শ্রমিকদের নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র, সার্ভিস বুক প্রদান করে না। 


নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, মালিক প্রতি মাসে ২০/২২ তারিখের আগে বেতন দেয় না। ফলে বাসার ভাড়া ও বাকি দোকানের টাকা সময় মতো না দিতে পারায় প্রতি মাসে শ্রমিকদের গালাগাল শুনতে হয়। এর মধ্যে গত ২০ মার্চ মালিক কর্তৃপক্ষ আইন লঙ্ঘন করে শ্রমিকদের থেকে জোর করে বিভিন্ন কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে কারখানা থেকে বের করে দেয়। অথচ এদের আইনগত কোন প্রাপ্য পাওনা দেয় নাই। যখন তখন শ্রমিকদের মারধর করে। শ্রমিকরা তাদের সংকট নিরসনে ১৩ দফা দাবি দিয়েছে এবং নিয়ম মতো কলকারখানা পরিদর্শন, বিকেএমইএ, শিল্প পুলিশে অভিযোগ দিয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ সমস্যা সমাধানে সঠিকভাবে এগিয়ে আসে নাই।  


নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে শ্রমিকদের ন্যায়সঙ্গত ১৩ দফা দাবির ত্রিপক্ষীয় চুক্তি বাস্তবায়ন ও ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের চাকরিতে পুনর্বহাল করার আহ্বান জানান।