নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

মঙ্গলবার,

২৯ এপ্রিল ২০২৫

নারায়ণগঞ্জে ৪ লাখ ৫৫ হাজার শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:০১:২৩, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

নারায়ণগঞ্জে ৪ লাখ ৫৫ হাজার শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল

আগামীকাল সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী “জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২৩”। সারাদেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জেও ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে। এবার নারায়ণগঞ্জে ৬-৫৯ মাস বয়সের ৪ লাখ ৫৫ হাজার ৮২ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।


রোববার নারায়ণগঞ্জ সিভিল কার্যালয় ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশেনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ১ লাখ ৩১ হাজার ৪৩৯ জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে। নাসিক এলাকায় ৩৪০টি কেন্দ্রে ৬-১১ মাস বয়ষী ২১ হাজার ৭৪৩ জন ও ১২-৫৯ মাস বয়ষী ১ লাখ ৯ হাজার ৬৯৬ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। 


প্রতিটি কেন্দ্রে ২ জন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মী শিক্ষক ও স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে এ ক্যাম্পেইন কার্যক্রম বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।


নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ব্যতিত জেলার ৫টি উপজেলায় ৩২৩,৬৪৩ জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে।  উপজেলাগুলোতে ১,০৫৬টি স্থায়ী ও অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে ৬-১১ মাসের ৩৮, ৯০৩ জন শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সের ২,৮৪,৭৪০ জন শিশুকে ১টি লাল রংঙের ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।


প্রতিটি কেন্দ্রে মোট ৩ জন (স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মীসহ) শিক্ষক ও স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন কার্যক্রম বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।


এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ আবুল ফজল মো. মুশিউর রহমান বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পরবর্তী সময়ে অপুষ্টিজনিত কারণে শিশুদের মাঝে রাতকানা রোগের হার ছিল ৪.১০ শতাংশ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে রাতকানা রোগ প্রতিরোধ কার্যক্রম গ্রহণ করে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু করেন।

 

পরবর্তী সময়ে বর্তমান সরকার ২০১০ সাল থেকে নিয়মিতভাবে বছরে দুইবার ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো অব্যাহত রাখার ফলে বর্তমানে ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবজনিত রাতকানা রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা শূন্য দশমিক শূন্য চার শতাংশে নেমে এসেছে।


ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল নিরাপদ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার তেমন কোন ঝুকি নেই। তাই জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন কার্যক্রম সফল করার জন্য গনমাধ্যম কর্মীদেরও সহযোগীতা কামনা করেন তিনি।

সম্পর্কিত বিষয়: