নারায়ণগঞ্জ টাইমস | Narayanganj Times

রোববার,

২৪ নভেম্বর ২০২৪

নারায়ণগঞ্জে প্রস্তুত ২১৮টি পূজা মন্ডপ, চলছে শেষ সময়ে তুলির আচঁড়

নারায়ণগঞ্জ টাইমস

প্রকাশিত:০৩:৩৫, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২

নারায়ণগঞ্জে প্রস্তুত ২১৮টি পূজা মন্ডপ, চলছে  শেষ সময়ে তুলির আচঁড়

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্ন শুভ মহালয়া হয়ে গেছে গত রবিবার। এদিন থেকেই শুরু দেবীপক্ষের। আরমাত্র একদিন পরই ষষ্ঠীপূজার মাধ্যমে দুর্গাপূজা শুরু।


৫ অক্টোবর বুধবার বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে বিদায় নেবেন দেবী। নারায়ণগঞ্জ পূজা উদযাপন পরিষদ জানিয়েছে, পুরো জেলায় ২১৮টি দুর্গাপূজা হবে, গত বছরের তুলনায়  বেড়েছে ৯টি পূজা মন্ডপ। মণ্ডপগুলোতে বাহারি রঙের আলোকসজ্জা সহ চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।


আগামী শনিবার ষষ্ঠী তিথিতে দেবী দুর্গার বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হবে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। ২ অক্টোবর সপ্তমী, ৩ অক্টোবর মহাষ্টমী ও কুমারী পূজা, ৪ অক্টোবর মহানবমী এবং ৫ অক্টোবর বিজয় দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে দুর্গোৎবের সমাপ্তি ঘটবে। 


দশমীতে শহরের বিভিন্ন মন্দির থেকে বের করা হবে বিজয়া শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রা চাষাঢ়া গোল চত্বর, গলাচিপা মোড়, নারায়ণগঞ্জ ক্লাব মার্কেট, ২নং রেল গেট হয়ে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে গিয়ে শেষ হবে।


এই বছর নারায়ণগঞ্জ জেলার ৭টি থানায় ২১৮ টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় ৪২ টি, ফতুল্লায় ২৮টি, সিদ্ধিরগঞ্জে ৭টি, বন্দরে ২৭টি, সোনারগাঁয়ে ৩৩টি, আড়াইহাজারে ৩৩টি ও রূপগঞ্জে ৪৯টি।


২৯ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) নগরীর একাধিক মন্দিরে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিমা শিল্পীরা দিনরাত দুর্গা, সরস্বতী, লক্ষ¥ী, গণেশ, কার্তিক, অসুর, সিংহসহ অন্য প্রতিমা সাজাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

 

নগরের উকিলপাড়া, দেওভোগ, সাহাপাড়া, আমলাপাড়া, নয়ামাটিসহ নিতাইগঞ্জের বলদেব জিউর আখড়া মন্দিরে চলছে প্রতিমা তৈরীর কাজ। ইতি মধ্যেই খড় আর কাঁদামাটি দিয়ে শেষ হয়েছে প্রতিমা তৈরীর কাজ। 


এখন চলছে রং আর তুলি দিয়ে চলছে প্রতিমার সাজানোর কাজ। এছাড়াও প্রতিমা তৈরীর পাশাপাশি অন্যান্য মন্দিরের সাজসজ্জায় চলছে বিশেষ প্রস্তুতি। বঙ্গবন্ধু সড়কের উপর তৈরী করা হয়েছে সুবিশাল তোরণ।


জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক শিখন সরকার শিপন এ বিষয়ে বলেন, শারদীয় দূর্গোপূজা উপলক্ষে ইতিমধ্যে একাধিক সভা করা হয়েছে। পূজা শান্তিপূর্নভাবে সম্পাদনের জন্য আমাদের প্রশাসনের সর্বস্তরের সহযোগিতা প্রয়োজন। 


আমরা ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সাথে ইতিমধ্যে কথা বলেছি। তারা আমাদের সার্বিক নিরাপত্তা ও সকল সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।


আসন্ন দুর্গা পূজাকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা ও পুলিশ প্রশাসন। নিরাপত্তার বিষয়ে পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, শান্তিপূর্ন ও সুশৃঙ্খল ভাবে পূজা করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমানে পুলিশ ও আনসার সহ নিরাপত্তা প্রদান করা হবে।