নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্টেট ইউনিভার্সিটিতে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাসের সিট নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় সব বিভাগের ক্লাস ও পরীক্ষাসহ শিক্ষা কার্যক্রম দুইদিন (মঙ্গল ও বুধবার) বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এই দুই দিনের আগে-পরে তিনদিন সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে মোট পাঁচদিন।
ছুটি চলাকালীন সময় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও প্রশাসনিক কার্যক্রম যথারীতি চলবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই ছুটির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার তদন্ত চলবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্টেট ইউনিভার্সিটির মার্কেটিং ও জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক (ইনচার্জ) মোহাম্মদ ওমর ফারুক তারেক এ তথ্য জানান। এর আগে শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন সেতু এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফার্মেসি ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুপুর ১২টা থেকে কয়েক দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুই বিভাগের অন্তত ২০ শিক্ষার্থী আহত হন।
তাদের মধ্যে মামুন ও রাফি নামে গুরুতর আহত দুই জনকে একটি হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণে (আইসিইউ) ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আহত অন্য শিক্ষার্থীদের অবস্থা গুরুতর না হওয়ায় তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গিয়েছেন বলে তাদের সহপাঠিরা জানিয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, গত ৪ সেপ্টেম্বর বাসের সিটে বসা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির ফার্মেসি বিভাগ ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনার পর থেকে এই দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল।
এ নিয়ে শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) আবারও সংঘর্ষে জড়ায় দুই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ সময় ক্যাম্পাসের ভেতরে তাদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্টেট ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ।
বিষয়ে স্টেট ইউনিভার্সিটির মার্কেটিং ও জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক (ইনচার্জ) মোহাম্মদ ওমর ফারুক তারেক বলেন, আগামীকাল সোমবার ঈদে মিলাদুন্নবীর সরকারি ছুটি। এছাড়া বৃহস্পতিবার এমনিতেই আমাদের ইউনিভার্সিটির সাপ্তাহিক ছুটি। পরদিন শুক্রবারও সরকারি ছুটি। তাই এই তিনদিন ছুটির মাঝখানে শুধুমাত্র ১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বর মঙ্গল ও বুধবার ভার্সিটি বন্ধ থাকবে।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক ধরনের চাপা ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে, তা নিয়ে আবারও যাতে তাদের মধ্যে কোনো ঝামেলা সৃষ্টি না হয় এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই ছুটিকালিন সময় ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলবে। শনিবার থেকে যথারীতি ক্লাস চলবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. চৌধুরী মফিজুর রহমান বলেন, তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। যারা দোষি তারা অবশ্যই শাস্তি পাবে।