সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল বাগপাড়া আলিম মাদ্রাসার বর্তমান গভনিং বডির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও হচ্ছে না নতুন গভনিং বডি। এ নিয়ে ক্ষুব্দ একাধিক অভিভাবক সদস্য।
মাদ্রাসা সূত্রে জানা যায়, দুই বছর মেয়াদী বর্তমান গভনিং বডির ভেঙ্গে গত ২০ জুলাইয়ের মধ্যে নতুন গভনিং বডি গঠনের কথা ছিল। কিন্তুু সে সময় পার হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত নতুন কমিটি গঠনের কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
মেয়াদোত্তীর্ণ গভনিং বডির সভাপতি অকিল উদ্দিন ভুইয়া। নতুন গভনিং বডি গঠিত না হওয়ার ব্যাপারে তাকে ফোন করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে ক্ষোভ প্রকাশ করে উক্ত কমিটির অভিভাবক সদস্য হাজী মোহাম্মদ ফজলুল হক জানান, আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধেই গভনিং বডির কমিটিতে রাখা হয়েছে। এর প্রতি আমার কোন আস্থা নেই। তারা কথার মূল্যায়ন করতে জানেনা। এখানে কারো মূল্যায়ন নেই। মাদ্রাসায় অনেক অনিয় আছে।
এখানকার প্রিন্সিপাল অযোগ্য লোক। সে একতরফা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। কাজের কোন ধরনের স্বচ্ছতা নেই। তাছাড়া পরবর্তী গভনিং বডিতে তাকে না রাখার জন্য প্রিন্সিপালকে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন বলেও জানান।
আরেক অভিভাবক সদস্য হাজী সাইজুদ্দিন মাদবর জানান, গভনিং বডির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। নতুন গভনিং বডির গঠনের জন্য আমাদের জাতীয় পরিচয় পত্র এবং স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। কিন্তুু কেন এখনো নতুন গভনিং বডি গঠনের সিদ্ধান্ত আসেনি, সে বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। এটা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল জানেন।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল খলিলুর রহমান জানান, নতুন গভনিং বডি গঠনের জন্য সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করে বোর্ডে পাঠানো হয়েছে। দুই চার দিনের মধ্যেই হয়তো সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
অন্যদিকে উক্ত মাদ্রাসার বর্তমান গভনিং বডির একাধিক সদস্য রয়েছেন, যাদের কোন সন্তানই উক্ত মাদ্রাসায় পড়ালেখা করে না। তারপরও তারা কমিটির অভিভাবক সদস্য পদে রয়েছেন।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল খলিলুর রহমান জানান, মাদ্রাসার অধিকাংশ শিক্ষার্থীর অভিভাবকই অস্থায়ী ভাড়াটিয়া। তাই মাদ্রাসার উন্নয়নের স্বার্থেই স্থানীয় ব্যক্তিদের সন্তান উক্ত মাদ্রাসায় পড়ালেখা না করা সত্ত্বেও সদস্য করা হয়েছে।