ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) বাঁধের ভেতর জলাবদ্ধতা নিরসনে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাসদ ফতুল্লা থানা শাখা। শুক্রবার (২৪ জুলাই) সকাল ১০টায় শিবু মার্কেটে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বাসদ ফতুল্লা থানার সমন্বয়ক এম.এ.মিল্টনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক নিখিল দাস, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি আবু নাঈম খান বিপ্লব, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদ, বাসদ পাগলা শিল্পাঞ্চল শাখার সমন্বয়ক এস এম কাদির, বাসদ ফতুল্লা থানা ফোরামের সদস্য জামাল হোসেন, বাসদ গাবতলী-পুলিশ লাইন শাখার নেতা সাইফুল ইসলাস শরীফ প্রমুখ।
এ সময় নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রতি বছর বৃষ্টির মওসুমে ডিএনডিবাসীদের জলাবদ্ধতার ভয়াবহ সমস্যায় পরতে হয়। এবার বৃষ্টির পরিমান বেশি হওয়ায় পরিস্থিতি আগের থেকেও ভয়াবহ। বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, শিল্প প্রতিষ্ঠান, ব্যবসাকেন্দ্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পানিতে ডুবে আছে। ফলে বহু মানুষ এলাকা ছেড়ে অন্যত্র যেতে বাধ্য হচ্ছে। ডিএনডি এলাকায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এবং ফতৃল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ দুটি গুরুত্বপূর্ণ থানা এলাকা থাকলেও এখানে পানি নিষ্কাশনে যথাযথ ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই, এলাকার খালগুলো প্রভাবশালীদের দখলে বহুকাল যাবৎ। ইতিমধ্যে দখলদাররা ৩০টির মতো মামলা করে প্রজেক্টের কাজে ব্যত্যয় সৃষ্টি করছে। জনপ্রতিনিধিরা জলাবদ্ধতা কবলিত জনগনের খোঁজখবর রাখছেন বলে মনে হচ্ছে না।
নেতৃবৃন্দরা আরো বলেন, ডিএনডি এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকারের মেগা প্রজেক্টের কাজ করছেন সেনাবাহিনী। গত তিন বছরে সাড়ে পাঁচ শত কোটি টাকা খরচ হলেও কাজের অগ্রগতি তেমন চোখে পড়ছে না। পত্রিকায় বেড়িয়েছে ফতুল্লার তিনটি ইউনিয়নে কোনো কাজই হয়নি। ইতিমধ্যে সেনাবাহিনী আরো সাড়ে তেরশ কোটি টাকা মঞ্জুরের জন্য প্রস্তাব করেছে। আমরা দাবি জানাই পর্যাপ্ত পাম্প বসিয়ে অতি দ্রুত ডিএনডির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের ত্রাণ বিতরণ সহযোগিতা করতে হবে। অন্যথায় ডিএনডির জলাবদ্ধতায় ভুক্তভোগী ২০ লক্ষ মানুষের স্বার্থে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়া হবে।