র্যাব-১১’র বিশেষ অভিযানে ৩৬ কোটি টাকা মূল্যের ১ কোটি ২০ লক্ষ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। এ সময় অবৈধ কারেন্ট জাল মজুদ রাখার অপরাধে মো. আবুল কাশেম (৩০), মো. আলম (২০), মো. বেলাল (৩২), মো. শফিকুল ইসলাম (১৯) ও মো. আতাউর (৪৮) নামে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালতের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব পলাশ কুমার বসু উক্ত অপরাধ আমলে নিয়ে মৎস রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ সনের ৪ এর (ক)(১) এবং ৫ এর (২)(খ) ধারায় গ্রেফতারকৃতদের দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেককে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। এবং ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে অবৈধ কারেন্ট জাল নদীর পাড়ে উন্মুক্ত স্থানে পুড়িয়ে ধ¡ংস করা হয়। বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) র্যাব-১১’র সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুন্সিগঞ্জ জেলার মুন্সিগঞ্জ সদর থানাধীন মুক্তারপুর পঞ্চসার সাওবান ফাইবার ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেড কারখানায় বিশেষ অভিযানে পেিচালনা করা হয়।
এ সময় ৩৬ কোটি টাকা মূল্যের অবৈধ কারেন্ট জাল মজুদ রাখার অপরাধে মো. আবুল কাশেম (৩০), মো. আলম (২০), মো. বেলাল (৩২), মো. শফিকুল ইসলাম (১৯) ও মো. আতাউর (৪৮) নামে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
দেশীয় উৎপাদিত কারেন্ট জাল কারখানা সিংহভাগ মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুরে অবস্থিত। কারেন্ট জাল উৎপাদন ও বিপণন নিষিদ্ধ হলেও বর্ষা মৌসুমকে সামনে রেখে মুন্সিগঞ্জের শিল্পনগরী পঞ্চসার এলাকার বিভিন্ন ফ্যাক্টরীতে দিনরাত ব্যাপকভাবে তৈরী হচ্ছে কারেন্ট জাল।
পঞ্চসার ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন ধরে কারেন্ট জাল উৎপাদন ও বিপণন করে আসছে বলে গোপন সূত্রে জানা যায়।
গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিএসসি’র একটি আভিযানিক দল বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত তার মালিকানাধীন সাওবান ফাইবার ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেড কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালতের নির্দেশে ১ কোটি ২০ লক্ষ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল উৎপাদন ও বিপণনে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।