পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক) বলেছেন, করোনা মোকাবেলার পাশাপাশি আমরা সঠিক সময়ে প্রতিষেধক টিকাও পেয়েছি।
যদিও এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১৩০টি দেশ টিকা পায়নি। তবে বাংলাদেশের এই অর্জন প্রধানমন্ত্রীর অবদান। যাঁর নেতৃত্বে বর্তমানে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হয়েছে।
‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে ২০২১’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সোমবার (১ মার্চ) দুপুরে জেলা পুলিশ লাইন্সে এ আলোচনা সভা ও কর্মরত অবস্থায় শহীদ চার পুলিশ কনস্টেবল পরিবারের হাতে সন্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
জেলা পুলিশ সুপার মো. জায়েদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-নারায়নগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ একে এম শামীম ওসমান, ২ আসনের সাংসদ নজরুল ইসলাম বাবু, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ, পুলিশ সুপার পিবিআই মনিরুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা: ইমতিয়াজ প্রমূখ।
এ সময় মন্ত্রী গাজী আরো বলেন, করোনা কালীন সময়ে বাংলাদের পুলিশ বাহিনীর অবদান অপরিহার্য। কোভিড ১৯’র দূর্যোগ মোকাবেলায় এই পুলিশ বাহিনী দিনরাত পরিশ্রম করে অসহায় মানুষের পাশে থেকে সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। মৃত দেহের দাফন ও সৎকাজ করেছেন।
গাজী পিসিআর ল্যাব করার পর থেকেই সর্ব প্রথম এই ফ্রন্ট ফাইটারদের করোনা পরীক্ষা করার জন্য আগে সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। কারন এই ফাইটারা যদি দেশ মাতৃকায় কাজ না করতে পারে তাহলে দেশ পিছিয়ে যাবে। দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বাধাগ্রস্থ হবে।
এসময় মন্ত্রী মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পুলিশ বাহিনীর বীরত্বপূর্ণ অবদানের কথা স্মরণ করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, এই পুলিশ বাহিনীকে এক সময় ঘৃনা করতাম।
কারন এই পুলিশ স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে ছাত্রদের নাম শুনলেই পেটাতো, মারধর করতো কিন্তু তৎকালীন ২৬ মার্চ থেকে তাদের প্রতি ভালবাসার সৃষ্টি হয়েছে। ঐদিন এই পুলিশ দেশ মাতৃকার জন্য অকাতরে নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়ে ছিলেন।
পরে ডিউটিরত অবস্থায় শহীদ চার পুলিশ কনস্টেবল পরিবারের হাতে সন্মাননা প্রদান করেন এবং জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অনুদান প্রদান করে আগামীতে তাদের পাশে থেকে সহযোগীর হাত বাড়িয়ে দেয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।