১৮ ফ্রেবুয়ারিকে সন্ত্রাস ও মাদক বিরোধী দিবস ঘোষনার দাবি করেছে শহীদ সাব্বির আলম খন্দকার ফাউন্ডেশন। মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামীকাল ১৮ ফ্রেবুয়ারি বৃহস্প্রতিবার সন্ত্রাস ও মাদক বিরোধী আন্দোলনের পথিকৃত, বলিষ্ট কণ্ঠ, বাংলাদেশ নীট ম্যানুফ্যাক্চারাস এন্ড এক্সপোর্টারস এসোশিয়েসনের সহ- সভাপতি, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক, নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি ,বিশিষ্ট শিক্ষা ও ক্রীড়ানুরাগী,সমাজসেবক শহীদ সাব্বির আলম খন্দকারের ১৮ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী।
শহীদ সাব্বির আলম খন্দকারের স্বরণে ও শহীদ সাব্বিরের খুনিদের গ্রেফতার ও বিচার এবং নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত করার দাবীতে ও ১৮ ফ্রেবুয়ারিকে সন্ত্রাস ও মাদক বিরোধী দিবস ঘোষনার দাবীতে সকাল ১০ টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে শোক র্যালীর আয়োজন করা হয়েছে।
শহীদ সাব্বির আলম খন্দকার ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে উক্ত শোক র্যালী দল-মত, জাতি-র্ধম নির্বিশেষে যোগদানের জন্য সকলের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে। এছাড়াও শহীদের কবর জেয়ারত ও শহীদের সাথে সংশ্লিষ্ট সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান সমূহ এ দিনটি পালন করবে।এছড়াও শহীদ শাব্বির সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ৯ দিন ব্যাপী কর্মসূচী পালিত হবে।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ২২ শে অক্টোবর নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাস, চাঁদা ও মাদক মুক্ত করার লে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাসে অনুষ্ঠিত জেলার ৩২ টি ব্যবসায়ী সংগঠনের সাথে সেনাবাহিনীর মত বিনিময় সভায় শহীদ সাব্বির আলম খন্দকার “ আমার জানাযায় অংশ গ্রহন করার আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য শুরু করছি” বলে নারায়ণগঞ্জের সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের নাম, ঠিকানা ও তাদের গডফাদারদের নাম প্রকাশ করেন এবং সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষনা করে নারায়ণগঞ্জবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্ঠা করেন।
তখন শহীদ সাব্বিরের ব্যাপক তৎপরতায় ঝুট সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে জিম্মি গার্মেন্টস ব্যবসায়ী, চুন ফ্যাক্টরী ও নারায়ণগঞ্জবাসী নিস্তার লাভ করে। ২০০৩ সালের ১৮ ফ্রেরুয়ারি প্রাতঃ ভ্রমন কালে সন্ত্রাসীদের গুলিতে শহীদ হন।
চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীরা কোনঠাসা হয়ে পরলে তাদের গডফাদারদের ষড়যন্ত্রে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজরা প্রাতঃকালীন ভ্রমনকালে শহীদ সাব্বির আলম খন্দকারকে গুলি করে হত্যা করে। তৎসময়ে সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের গডফাদাররা প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা দায়ের থেকে শুরু করে তদন্ত সহ সকল ক্ষেত্রে অবৈধ হস্তক্ষেপ করে। ফলে দীর্ঘ ১৮ বছরেও একটি গ্রহন যোগ্য চার্জশীট প্রসাশনের পক্ষ থেকে পাওয়া যায়নি।