সিদ্ধিরগঞ্জে মহাসড়ক থেকে গাড়ি আটক, মারধর ও রেকার বিল দাবি করায় নিজের পেটে চাকু ঢুকিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে ব্যাটারি চালিত এক ইজিবাইক চালক। তার নাম জুম্মন (৩০)। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টায় সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল কাঁচপুর ব্রিজের পশ্চিম ঢালে সাজেদা হাসপাতালে সামনে। পরে আহত জুম্মনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেছে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের ডাচবাংলা ব্যাংক সংলগ্ন ইউটার্ন এলাকা থেকে জুম্মনের ব্যাটারী চালিত ইজিবাইকটি আটক করে ট্রাফিক পুলিশের এটি এস আই রাশেদ। এসময় জুম্মনকে কয়েকটি চড় থাপ্পর মেরে ইজিবাইকটি কাঁচপুর ব্রিজ সংলগ্ন ডাম্পিং স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। এবং ২ হাজার ৫০০ টাকা রেকার বিল দাবি করা হয় তার কাছে।
এদিকে পুলিশের মার খেয়ে এবং দাবিকৃত রেকার বিল পরিশোধ করতে না পেরে ক্ষোভে অভিমানে নিজের পেটে নিজেই ছুরিকাঘাত করে জুম্মন। এসময় হতবাক হয়ে পড়েন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তারা ওই সময় দ্রুত তাকে পাশ^বর্তী সুগন্ধা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে জুম্মনের সঙ্গে ধারালো চাকু থাকার বিষয়টি প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে প্রত্যক্ষদর্শীদের মাঝে।
সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল ট্রাফিক পুলিশের টিআই আব্দুল করিম জানান, সকালে ঢাকা ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ের ডাচবাংলা ব্যাংক ইউটার্ন এলাকায় হাইওয়েতে চলাচল নিষিদ্ধ দুইটি ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক সংঘর্ষ লেগে একটি মহাসড়কের উপর উল্টে যায়। খবর পেয়ে শিমরাইল এলাকার রেকারের অপারেটারের দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক পুলিশের এটি এসআই রাশেদ ওই ইজিবাইকটি সড়ক থেকে উদ্ধার করে শিমরাইল সাজেদা হাসপাতালের পাশে ডাম্পিং ষ্টেশন রেখে দেন। পরে ইজিবাইক চালক জুম্মন ডাম্পিং ষ্টেশনের পাশে গিয়ে নিজেই তার পেটে ছুরিকাঘাত করে। ধারনা করা হচ্ছে, ইজিবাইক চালক জুম্মন মাদকাসক্ত। মাদকাসক্ত না হলে এমন কাজ কেউ করতে পারেন না।