বন্দরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মহিলাসহ ৪ জনকে পিটিয়ে আহত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারী) সকালে বন্দরের নবীগঞ্জ পূর্বপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় দুই দফা মারামারীর সংঘটিত হয়।
পরে থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় হাজী আমির হোসেন বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ্য পূর্বক বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
সূত্রে জানা গেছে, নাসিক ২৩ নং ওর্য়াডস্থ বন্দরের কাবিলের মোড়স্থ নূরবাগ এলাকার হাজী আমির হোসেন ভুলু মিয়ার ছেলে সায়েম হোসেন ও তার বন্ধু সামস্ এর সাথে পূর্বপাড়া এলাকার নাহিদ গং’র সাথে তর্ক বির্তক হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারী ( রোববার) সকালে সায়েম ও সামস্ কদম রসুল পূর্বপাড়া এলাকায় গেলে নাহিদসহ ১৫/২০ জনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র তাদের আটক করে।
সংবাদ পেয়ে সায়েমের পিতা আওয়ামীলীগ নেতা হাজী আমির হোসেন ভুলু, চাচা মোসাদ্দেক হোসেন আঙ্গুর, চাচাতো ভাই নাছির ও বোন নাদিয়া আক্তার ঘটনাস্থলে গেলে তাদেরকেও মারধর পূর্বক ৩ জনকে রক্তাক্ত জখমসহ নাদিয়া আক্তারকে শ্লীলতাহানির চেষ্ঠা করে।
কদম রসুল পূর্বপাড়া এলাকার আমির হোসেনের ছেলে নাহিদ, একই এলাকার মৃত হীরা কন্ট্রাটারের ছেলে জাকির, হেলাল, সীমান্ত, লিটন, সাজু, আদনান, হেলালের ছেলে অলক, আনাস, সিয়াম, আবিদ, আল হাসান, আরফাত, আলাল, সনেট, স্কান্দারসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৮/১০ জন মিলে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সুসজ্জিত হয়ে তাদের উপর অর্তকিত হামলা চালায়।
আওয়ামীলীগ নেতা হাজী আমির হোসেন ভুলু (৬১), মোসাদ্দেক হোসেন আঙ্গুর(৪২), নাঈছার (১৬) রক্তাক্ত জখম হয়। আহতের চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা আহতদের হত্যার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। আহতদের বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বন্দর থানা পুলিশের উপ- পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম জানান, ঘটনার সংবাদ পেয়ে দ্রুত আমার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। গিয়ে দেখি একদল যুবক তাদের মারধর করে আটকে রেখেছে। পরে তাদের উদ্ধার করে পাঠিয়ে দিয়ে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।