ঋতুরাজ বসন্তে ফুলের গন্ধে ঘুম কেড়ে নেয়া গ্রামের নাম সাবদি। নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ব্রহ্মপুত্র নদের তীর ঘেঁষা এ গ্রামে হরেক রকম ফুলের সুবাসে মন ভরিয়ে দেয় ফুল প্রেমীদের। গ্রামের বাহারি রঙের ফুল সারা দেশে সরবরাহ করে থাকেন স্থানীয় চাষীরা।
বন্দর উপজেলার সাবদি, দীঘলদি, মাধবপাশা ও আইছতলা সহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামে বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ করা হয়। গলাগাছিয়া ইউনিয়নের এসব গ্রামের ১০ থেকে ১৫ হাজার নারী-পুরুষ ফুল চাষ করেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। এ বছর প্রায় ৭০ হেক্টর আবাদি জমিতে ২৪ ধরনের ফুল চাষ হয়েছে। পহেলা ফাল্গুন, বসন্তের ভালোবাসা দিবস ও ২১শে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা ও শহীদ দিবসকে ঘিরে দুই থেকে তিন কোটি টাকার ফুল বিক্রির আশা করছেন চাষীরা।
এ গ্রামের ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজারো দর্শনার্থীরা এসে ভীড় করেন এখানে। তারা গাঁদা, রজনীগন্ধা, গ্লাডিওলাস, জারবেরা, বাগানবিলাস, চন্দ্রমল্লিকা, ডালিয়া, কসমস, দোলনচাঁপা, নয়নতারা, মোরগঝুঁটি, কলাবতী, বেলি, জিপসি, চেরি, কাঠমালতি, আলমন্ডা, জবা, রঙ্গন, টগর, রক্তজবা ফুলের গন্ধে নিজেকে হারিয়ে প্রকৃতি স্বাদ নেন।
ভিডিও লিঙ্ক : https://youtu.be/Uou5oDakieY
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারহানা সুলতানা জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর করোনা মহামারি ও জমিতে পানি থাকায় অনেক ফুল চাষী কমেছে। বড় চাষীরা ঝুঁকি নিলেও ক্ষুদ্র চাষীরা সবজি ও ফল চাষে ঝুকছেন।
গত বছর ২ শতাধিক চাষী থাকলেও এবার তা ১ শত ২৪ জনে নেমেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোঃ ইসহাক জানান। চাষীদের দাবি, সরকার যদি ঋণের সুদের হার কমিয়ে দেয় তাহলে সব চাষীরা ফুল চাষ করতে পারবেন।
করোনার কারণে কিছুটা ক্ষতি হওয়ায় সরকার এ বছর কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণের ব্যবস্থা করেছে। এতে করে ফুল চাষীরা লাভবান হতে পারবে।
নারায়ণগঞ্জের পরিবেশবীদদের দাবি, সাবদির ফুল ও প্রকৃতি বাঁচিয়ে রাখতে সংশ্লিষ্টদের আরো পৃষ্টপোষকতা প্রয়োজন।