মা ও মেয়েকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ উঠেছে ফতুল্লার পাকিস্তান খাদঁ এলাকার আতংক, পেশাদার ছিনতাইকারী সাইদুলের বিরুদ্ধে।
সন্ত্রাসী সাইদুলের হামলায় আহত হাজেরা বেগম ও তার মেয়ে রহিমা বেগম (২৩)কে চিকিৎসার জন্য প্রথমে নারায়নগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে (ভিক্টোরিয়া) নিয়ে যাওয়া হলে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসোতালে নিয়ে যাওয়া হয বলে জানা যায়।
এ ঘটনায় আহত হাজেরার স্বামী সিরাজ মিয়া বাদী হয়ে শনিবার (১৩ফেব্রুয়ারী) রাতে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
বাদীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়,সন্ত্রাসী সাইদুর তার নিকটাত্নীয় এবং মাদকাসক্ত । দীর্ঘদিন ধরে সাইদুর তার স্ত্রী হালিমা (২৬)কে নিয়ে বাদীর বাসায় বসবাস করিয়া আসিতেছে।বাসা থেকে বের করে দিতে চাইলেও সাইদুর জোর পূর্বক তার বাসায় অবস্থান করে আসছে এবং বাড়িটি সাইদুলের নামে লিখে দেওয়ার জন্য প্রায় সময় তার এবং তার পরিবারের সদস্যদের উপর নির্যাতন করে আসছিলো।সর্বশেষ গত শনিবার (১৩ফেব্রুয়ারী) বেলা ১১ টার দিকে সন্ত্রাসী সাইদুল ও তার স্ত্রী হালিমা বাদীর স্ত্রী ও কন্যাকে কাঠের তৈরী ডাসা দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।সন্ত্রাসী সাইদুলের হামলা থেকে রক্ষা পেতে বাদীর স্ত্রী ও কন্যা ডাক চিৎকার করলে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানায়, সাইদুল পাকিস্তান খাদঁ এলাকায় সমাজ বিরোধী এমন কোন অপকর্ম নেই যা সে করেনা। মাদক বেচাকেনা, ছিনতাই, ব্ল্যাক মেইলিং, বিচার- শালিসীর নামে মানুষকে জিম্মি করে অর্থ আদায় সহ নানা দস্যুতামূলক কর্মকান্ডের জন্ম দিয়ে স্থানীয় মহল জুড়ে হয়ে উঠেছে মূর্তিমান আতংক।রাতের অন্ধকারে পাকিস্তান খাদঁ সংলগ্ন রেল লাইন দিয়ে নিরাপদে হেটে যাওয়া অনেকটাই দুঃস্কর। সাইদুল বাহিনীর হাতে পথচারীদের খোয়াতে হয়নগদ টাকা, মোবাইল ফোনসহ নানা মূল্যবান সামগ্রী।তার সৃস্ট অপরাধের বিরুদ্ধে কহ প্রতিবাদ করলে হতে হয় নাজেহাল।আর তাই নির্যাতিত বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে ও কেউ সাইদুলের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহসটুকু পর্যন্ত কেহ করেনা।