নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন কমিটির সভাপতি মো. মোস্তাইন বিল্লাহ বলেছেন, আসুন আমরা করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণ করি, সুরক্ষিত থাকি।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের যৌথ উদ্যোগে তৈরি করোনার প্রতিষেধক কোভিশিল্ড নিরাপদ ও কার্যকর।
নারায়ণগঞ্জ জেলায় ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ডোজ করোনার প্রতিষেধক (টিকা) এসে পৌঁছেছে। এসব বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী দুই থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে নগরীর দ্ুিট সরকারি হাসপাতালসহ জেলার ছয়টি স্থান থেকে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু হবে।
বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে টিকা সংরক্ষিত স্থান পরিদর্শন শেষে তিনি করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন ও কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন কমিটির সদস্যসচিব ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শামীম বেপারী, জেলা করোনা ফোকাল পারসন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. জাহিদুল ইসলাম, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার কামরুল হাসান মারুফ প্রমুখ।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণে আগ্রহীদের সুরক্ষা নামক অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হবে। শুধুমাত্র নিবন্ধিত ব্যক্তিদেরকেই দেয়া হবে এই ভ্যাকসিন। অনিবন্ধিত কাউকে এই ভ্যাকসিন দেয়া হবে না।
এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই জেলা ও উপজেলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু হয়েছে। আগামি দুই একদিনের মধ্যে তাদের প্রশিক্ষণ পর্ব শেষ হবে।
প্রসঙ্গত, গতকাল মঙ্গলবার (০২ ফেব্রুয়ারি) রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলায় বরাদ্দকৃত করোনার ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ভ্যাকসিন এসে পৌঁছেছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মাদ ইমতিয়াজ তার কার্য্যালয়ে এই ভ্যাকসিন বুঝে নেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা করোনা ফোকাল পার্সন ডা. জাহিদুল ইসলামসহ জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের প্রতিনিধিরা।