সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ স্কপ এর অন্যতম কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতা শ্রমিক জননেতা কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, পুঁজিবাদী সমাজ মালিকের মুনাফার স্বার্থে শ্রমিক ঠকায়, খাদ্যে ও ঔষধে ভেজাল দেয়, দাম বাড়ায়, মানুষের বিবেক মনুষ্যত্ব নষ্ট করে। শ্রমিকরা যাতে ঐক্যবদ্ধ হতে না পারে সেজন্য আইন তৈরী করে।
এই নিষ্পেষনের চক্র ভাঙার লড়াই শ্রক্তিশালী করতে ও শ্রমিক আন্দোলনে বিপ্লবী ধারা সৃষ্টির লক্ষে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট অত্মপ্রকাশ করেছে। শ্রমিকের ন্যায্য মজুরী, গণতান্ত্রিক শ্রম আইন, ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার প্রতিষ্ঠায় সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট লড়ছে। শ্রমিক ফ্রন্ট মনে করে শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনই শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠা তথা সমাজব্যবস্থার পরিবর্তন করে শ্রমিকের মুক্তি আনবে।
সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের ৩৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে শ্রমিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ জানুয়ারি) বিকাল ৩টায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এ শ্রমিক সমাবেশ ও শহরে লাল পতাকা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
শ্রমিক সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ স্কপ এর অন্যতম কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতা শ্রমিক জননেতা কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন।
সমাজাতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি শ্রমিক নেতা আবু নাঈম খান বিপ্লবের সভাপতিত্বে শ্রমিক সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বাসদ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সমন্বয়ক জননেতা নিখিল দাস, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাস, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদ, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সহ-সভাপতি এম.এ মিল্টন, রি-রোলিং স্টিল মিলস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি জামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এস.এম. কাদির ও গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শরীফ।
এ সময় রাজেকুজ্জামান রতন আরো বলেন, সারা পৃর্থিবীর শ্রমিক শ্রেণী এক কঠিন সময় অতিক্রম করছে। একদিকে পুঁজিবাদী শোষন অন্যদিকে করোনা মহামারীর আক্রমন শ্রমিকদের জীবনের যন্ত্রনা বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুন।
করোনায় শ্রমিক হারিয়েছে কাজ, যাদের কাজ আছে তাদের মজুরী কমিয়ে দিয়েছে, কাজের সময় ও চাপ বাড়ানো হয়েছে। শ্রমিকদের শ্রমের দাম কমলেও খাদ্য, ঔষধ, চিকিৎসার খরচসহ শ্রমিক যা ব্যবহার করে সব কিছুর দাম বেড়েছে।
কিন্তু মালিকদের প্রতি সরকারের সহায়তা, প্রণোদনা ও সুবিধা সবই বেড়েছে।