নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ১৪টি ড্রাম ভর্তি ২ হাজার ৭২০ লিটার চোরাই সয়াবিন তেলসহ চোরাই চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার রূপসী এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মোঃ মন্টু মিয়া (৩৫), মোঃ মিজান হাওলাদার (৪৫), মোঃ মাসুম হোসেন মোল্লা (৩৫) ও মোঃ মানিক (৩০)। এসময় চোরাই কাজে ব্যবহৃত ১টি ইঞ্জিন চালিত নৌকা জব্দ করা হয়।
র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: জসিম উদ্দীন চৌধুরী এ তথ্য জানান।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলায় অবস্থিত শীতলক্ষ্যা নদীর দুই পাড়ে সয়াবিন তেলের কারখানা গড়ে উঠেছে। এই তেলের কারখানাগুলোতে প্রতিদিন গভীর সমুদ্র বন্দর হতে আমদানিকৃত অপোরিশোধিত সয়াবিন তেলভর্তি শত শত তেলের লাইটার জাহাজ আসে। পণ্য খালাসের জন্য লাইটার জাহাজগুলো কারখানার পাশে নদীতে নোঙ্গর করা থাকে। রূপসী এলাকায় নোঙ্গর করা এই সকল তেলের লাইটার জাহাজ হতে দীর্ঘদিন যাবৎ তেল চুরির একটি সিন্ডিকেট অসাধু কৌশল অবলম্বন করে অবৈধভাবে তেল চুরি করে বিক্রি করে আসছে। লাইটার জাহাজের কিছু অসাধু কর্মচারীর যোগসাজশে বিশেষ কায়দায় মোটর সেট করা নৌকা ব্যবহার করে তারা নোঙ্গর করা অপোরিশোধিত সয়াবিন তেল ভর্তি তেলের লাইটার জাহাজ হতে তেল চুরি করে এবং চোরাইচক্র আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য এই চোরাই তেল কালোবাজারিদের কাছে বিক্রি করে।
তিনি আরও জানান, র্যাব-১১ এর একটি গোয়েন্দা দল কর্তৃক দীর্ঘদিন এই চোরাই চক্রের উপর গোয়েন্দা নজরদারী করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে হাতে-নাতে উক্ত চোরাই চক্রের ৪ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, তারা পরষ্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন কৌশলে অবৈধ উপায়ে শীতলক্ষ্যা নদীতে চালিত তেলভর্তি লাইটার জাহাজ হতে তেল চুরি করে এবং মজুদ করে অবৈধভাবে কেনাবেচা করে আসছে। এই চোরাই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন র্যাবের এই কর্মকর্তা।