বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য এডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে বাঙ্গালী জাতি পরিপূর্ণ স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিলো। কারণ বঙ্গবন্ধু ছাড়া স্বাধীনতার কথা কল্পনা করা যায়না।
বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পাকিস্তানীরা আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধুকে ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলো।
১৯৭২ সালের এই দিনে তিনি দেশে ফিরেই দেশের দায়িত্ব নিয়ে যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশ পূণর্গঠনে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
বঙ্গবন্ধু বুঝতে পারেন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। পাক বাহিনীর হামলায় যাতায়াত ব্যবস্থা এবং শিল্প কারখানাগুলো পুরোপুরি ধবংস হয়ে যায়। বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় বিপ্লবের ঘোষণা দেন।
তিনি দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা এবং জাতীয় ঐক্য গঠনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। ফলে দেশের জনগণ ব্যবসা, চাকুরি ও বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত হতে থাকে, দেশের মানুষ স্বনির্ভর হতে থাকে, আন্তর্জাতিকভাবে আমদানী ও রপ্তানী ব্যবস্থা বেগবান হতে থাকে, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমে আসে ও দেশে ফিরে আসে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা।
তাই বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে এই মহান নেতাকে গভীরভাবে স্মরণ করছি ও তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি’।
মুজিববর্ষ ও বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৫নং ওয়ার্ড এর মোল্লাবাড়ীতে ও বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের গকুলদাসেরবাগে দুঃস্থ ও শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণকালে এডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। এসময় বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্পাদক শাহজাহান মোল্লা, বন্দর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছালিমা হোসেন শান্তাা, ২৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আল আমিন মোল্লা, ২৫,২৬,২৭নং ওয়ার্ড এর সাবেক মহিলা কাউন্সিলর শাহী ইফাৎ জাহান মায়া, ২৫নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা হাজী আক্তার হোসেন, যুবলীগ নেতা সৈয়দ আহম্মেদ, নূর মুহম্মদ, নজরুল ইসলাম বাদশা, জাতীয় পার্টি নেতা হাসান, রাজু, আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান, মোস্তফা কামাল ভূঁইয়া সহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।