অনলাইন বিজনেস প্ল্যাটফর্ম এন্ট্রিপ্রিনিউরস কিংডম অব বাংলাদেশ বর্তমানে তরুণ উদ্যোক্তাদের স্বপ্ন পূরণের সেরা প্লাটফর্ম হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন শত শত নতুন ক্রেতা উদ্যোক্তা যোগ দিচ্ছেন কিংডমে। সেলার বায়ারদের পদচারণায় দিনরাত মুখরিত এই কিংডম প্রাঙ্গণ। কিংডমের উদ্যোক্তারা কাজ করছেন শত শত দেশীয় পণ্য নিয়ে।
আমাদের ব্যস্ত জীবনে অনেক কিছুর সাথে হারিয়ে যাচ্ছে সবুজ বনায়ন। জায়গার অপ্রুতলতার জন্য দিন দিন চারপাশে কমছে সবুজের সমারোহ। তাই ঘরকেই সবুজের ছোঁয়ায় রাঙিয়ে দিতে কিংডমে আছেন নারায়ণগঞ্জ কন্যা মিতু রহমান। উনার পেইজ পটেশ্বরী নিয়ে কাজ করছেন নান্দনিক সব ইনডোর প্লান্ট নিয়ে। এছাড়াও উনি রেডি টু কুক হাঁস,গরুর ভুঁড়ি নিয়েও কাজ করছেন কিংডমে। মাত্র একহাজার টাকার সুতা-কাটা দিয়ে নিজের উদ্যোক্তা জীবন শুরু করেন চন্দ্রবিন্দু। কিংডমের হাত ধরে নিজের কুশিপণ্য নিয়ে স্বপ্ন বুনে চলেছেন রোজ। কিংডমের সবাই তাকে কারূকণ্যা নামেই বেশি চিনে।
কিংডমেরই আরেকজন নারী উদ্যোক্তা ইসমাত আরা মুন্নি কাজ করছেন অর্গানিক গ্রিন টি,ব্ল্যাক টি ও পাটের তৈরী ব্যাগ, মুক্তাগাছার মন্ডা , মধু এবং শাড়ি , সালোয়ার কামিজ নিয়ে , ফেসবুকে ওনার পেজ এর নাম সজনেডাটা। ঢাকার ডেমরা থেকে প্রিয়ন্তী সুচি নিজের উদ্যোগ “টেস্ট অব প্রিয়ন্তী’স কিচেন” এর মজাদার সব খাবার নিয়ে আছেন কিংডমের সাথে।কিংডমের আরেক নারী উদ্যোক্তা ইসমাত আরা কাজ করছেন মেয়েদের থ্রি-পিস নিয়ে।পুরান ঢাকার মেয়ে মেঘমালা কিংডমে আছেন শাড়ি ও থ্রি-পিস নিয়ে।উনার উদ্যোগের অন্যতম আরেকটি কাজ হলো খেজুর আচার ও নাগা মরিচের আচার। নওগাঁর ছোট্ট মেয়ে আফরিন মাহমুদ খান কিংডমে আছেন নওগাঁর বিখ্যাত প্যারা সন্দেশ,খেজুরী সন্দেশ ও রসকদম নিয়ে। ঢাকা থেকে আছেন সানতাকা আলম আপু ফ্রেশ সব্জির আচার ও চাল কুমড়ার মোরোব্বা নিয়ে। ফাহমিদা জান্নাত লুবনা আছেন বিরিয়ানী, রোস্ট, পোলাও ও চাইনিজ ফুড নিয়ে।
এই কিংডমের হাত ধরেই নিজের উদ্যোক্তা জীবন শুরু করেছেন ঢাকার মেয়ে প্রিয়াংকা পাল। তিনি কাজ করছেন নারকেল ক্ষিরের নাড়ু,তিলের নাড়ু,মোয়া ও ডালের বড়ি নিয়ে। গাইবান্ধার মেয়ে সানজিদা আক্তার সোহানা কিংডমে আছেন নিজের বানানো ইউনিক ক্রিয়েশন ওড়না ক্যাপ নিয়ে। নারায়ণগঞ্জের মেয়ে সাদিয়া আফরোজ পেশায় একজন আর্কিটেক্ট। করোনায় অলস সময় বসে বসে না কাটিয়ে শুরু করেছেন হোমমেড কেকের কাজ। প্রফেশনাল মানের হোম মেইড কেক বানিয়ে কিংডমে নিজের জায়গা ও পরিচিতি অর্জন করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে দেশীয় ডিজাইনের শাড়ি নিয়ে উদ্যোগ জীবনের যুদ্ধে নামেন নারায়ণগঞ্জের শাহতাজ মুনমুন। তিনি কিংডমে যুক্ত আছেন এবং সকলের মাঝে নিজের পরিচিতি তৈরি করছেন।
গ্রুপের এডমিন সৌরভ খান বলেন, “হাজার হাজার উদ্যোক্তা দিনরাত সময় দিচ্ছেন এই কিংডমে। নিজেদের আরো বেশি দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তোলার পাশাপাশি দূর করছেন বেকারত্ব,অবদান রাখছেন দেশের অর্থনীতিতে। সেদিন আর খুব বেশি দূরে নয়, যেদিন কিংডমের উদ্যোক্তাদের দেশীয় পণ্য দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও জনপ্রিয়তা পাবে। দেশে তৈরি হবে আন্তর্জাতিক মানের উদ্যোক্তা”।