নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেডে ব্যবসার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। সন্ত্রাসী পানি আক্তার বাদী হয়ে শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে মামলাটি দায়ের করে। মামলায় সন্ত্রাসী কসাই বাবুকে প্রধান আসামী করে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০ থেকে ৩০ জনকে আসামী করা হয়।
মামলার অন্য আসামীরা হলো- নতুন বাজারের ইসমাইল (৪৭), সোনামিয়া বাজারের সোহেল (৩৮), কদমতলীর সজিব (৪০), সোনামিয়া বাজারের জামাল কসাই (৪৭), সম্রাট (৩৫) , সজিব (২৮), মাসুদ (৩২), আয়নাল হক বড় (৪৮), সেলিম মজুমদার (৩৮), সোহাগ (৩৭), কিবরিয়া (৪৯), তুহিন (৩৭), হেলাল (৩৪), মোটা সাদাম (৪৭), সজল (৩৪), স্বপন মিয়া (২৮), নুর হোসেন (৪৭), ভাঙ্গারী মিনার (৪০), স্বপন (৪২)।
এরমধ্যে পুলিশ মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামী জামাল কসাই (৪৭) ও আপন (১৮) কে গ্রেপ্তার করেছে। এরমধ্যে জামাল কসাই সন্ত্রাসী কসাই বাবুর বড় ভাই।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সকালে পানি আকতার বাদি হয়ে মামলা করেছে মামলায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও জানান, চাঁদা না দেয়ায় বৃহস্পতিবার মামলার বিবাদীরা দেশীয় আগ্নোয়স্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা ও মারধর করে বেশ কয়েকজনকে আহত কয়েছে বলে মামলায় বাদী উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন :আদমজীতে দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১৫
উল্লেখ বৃহস্পতিবার নতুনবাজার বিহারী ক্যাম্প পকেট গেইট এলাকায় আদমজী ইপিজেডের ভেতর মারুশিয়া প্যাসেফিক নামে একটি প্রতিষ্ঠানে ব্যবসার নিয়ন্ত্রন নিয়ে ৬নং ওয়াডের্রর বর্তমান কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি ও সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মন্ডলের সমর্থিত দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। মামলার বাদী সন্ত্রাসী পানি আকতার কাউন্সিলর মতির আত্মীয়।