নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন বলেছেন, এটা বিজয়ের মাস। ১৬ ডিসেম্বর অর্জনে আমাদের অনেক চড়াই উৎড়াই পার করতে হয়েছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের উগ্রযাত্রায় বর্তমানে দেশে এক নতুন মাইলফলক সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (২১ ডিসেম্বর) ডাকবাংলোতে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ আয়োজিত ইফেকটিভ ইংলিশ লার্নিং কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু আদর্শের বাংলাদেশ গড়ে তোলা প্রত্যয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জীবনবাজী রেখে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি জেলা পরিষদের মাধ্যমে শিক্ষিত ও গৃহিনীদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি লক্ষ্যে বিনা খরচে সেলাই মেশিন প্রশিক্ষণ, ডিজিটাল কর্মসংস্থান কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেয়া ও ভ্যান গাড়ী বিতরণ করা হয়। জেলা পরিষদের মাধ্যমে মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হচ্ছে। বিনা খরচে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, সেলাই মেশিন বিতরণ ও ভ্যান গাড়ী দেয়া হয়, সেখানে জেলা পরিষদের অর্থায়ন থেকে ব্যয় হয়। এখান থেকে প্রশিক্ষণ ও সনদ নিয়ে বাহিরে চাকরি নিতে না পারলে, ঘরে কাজ শুরু করুণ, যেন রুটি রুজির খরচ আসে। সরকার চায় দেশের কোন জনগণ যেন কর্মহীন না থাকে। আপনাদের সন্তান, মা, স্বজনদের এই প্রশিক্ষণ দিন, যেন তারাও কর্মসংস্থানে সৃষ্টি করতে পারে। বর্তমানে দেশের মানুষ উন্নত থাকুক, ওরা চায় না।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের কাছে মানবতার মা স্বীকৃতি লাভ করেছে। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের তিনি যেভাবে আশ্রয় দিয়েছেন, তা অবশ্যই প্রশংসিত।
তিনি এর মধ্যে যারা দেশে গৃহহারা মানুষ আছে, তাদের জন্য এমপি ও ডিসিদের মাধ্যমে উপজেলার মাধ্যমে গৃহ নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের চেহারা বদলে দিয়েছে। পাকিস্তান সরকার যখন জনগণের কাছে উন্নত দেশ গড়ার ঘোষনা দেয়, তখনই পাকিস্তানের ইমরান খানকে জনগণ বাংলাদেশের মত উন্নত দেশ গড়তে বলেন। তার মানে কি দাঁড়ালো, পাকিস্তান এখন বাংলাদেশ হতে চায়। পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বিশ্বের কাছে চমক দিয়েছে আওয়ামীলীগ সরকার। আগামী ৩/৫ মাসের মধ্যে পদ্মা সেতু দিয়ে গাড়ী চলাচল করবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, সহকারী প্রকৌশলী মোঃ ওয়ালি উল্লাহ, উপ-সহকারী প্রকৌশলী কাঞ্চন কুমার পালিত, প্রশাসনিক কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান প্রমুখ।