বন্দরে মাদক সেবী স্বামীর অমানবিক নির্যাতন সইতে না পেরে নাসরিন আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূ কিটনাশক সেবন করে আত্মহত্যা করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে (১৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টায় বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিন ঘারমোড়া এলাকায়।
খবর পেয়ে মদনগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশ মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়না তদন্তের জন্য লাশ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।
এ ঘটনায় গৃহবধূর পিতা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে বন্দর থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।
আরো পড়ুন :খালি পেটে পাকা পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা
জানা গেছে, গত ২ বছর পূর্বে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চর-ঘারমোড়া এলাকার মৃত ফজুল্লা ওরফে ফজলু মিয়ার মাদকাসক্ত ছেলে আরাফাতের সাথে সুদূর ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানার পুরুরা এলাকার নজরুল ইসলামের মেয়ে নাসরিন আক্তারের সাথে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। বিয়ের পর তারা দক্ষিন ঘারমোড়া পাক্কা জুম্মা মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় মাটি ভাড়া থাকত। স্বামী আরাফাত মাদকাসক্ত থাকার সুবাদে প্রায় সময় নেশা সেবনের টাকার জন্য তার স্ত্রী নাসরিন বেগমকে নির্যাতন করত।
গত ১৪ ডিসেম্বর সোমবার সকাল ১০টায় মাদকাসক্ত স্বামী আরাফাত তার স্ত্রী কাছে মাদক সেবনের টাকা চায়। এ নিয়ে তাদের মদ্রে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে মাদকাসক্ত স্বামী আরাফাত নেশা সেবনের টাকা না পেয়ে তার স্ত্রীকে বেদম ভাবে মারপিট করে চলে যায়। এ ঘটনায় গৃহবধূ নাসরিন আক্তার মনের ক্ষোভে ঘরে রক্ষিত কিটনাশক সেবন করে ।
এ ঘটনায় মাদকাসক্ত স্বামীর স্বজনরা মুমুর্ষ অবস্থায় গৃহবধূকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে গৃহবধুকে বাড়ী নিয়ে আসে। পরে ওই দিন রাতে গৃহবধূ মৃত্যু বরণ করে। আত্মহত্যার ঘটনার পর থেকে মাদকাসক্ত স্বামী আরাফাত ও তার পরিবার পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ ফখরুদ্দীন ভূইয়া জানান, আত্মহত্যার কারন জানতে মদনগঞ্জ ফাঁড়ী পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য লাশ উদ্ধার করে র্মগে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।