নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি তিন তলা ভবনের সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে শিশুসহ দুই জন নিহত ও আরও দুই জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটছে বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম সংলগ্ন রামারবাগ এলাকায় সাইদ মিয়ার বাড়িতে ।
নিহতরা হলেন ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র মো. জিসান (১২) ও পোশাক শ্রমিক আবদুর রাজ্জাক (৩৫)। এরমধ্যে জিসান ওই এলাকার মামুন মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন, রামারবাগ এলাকার খাইরুল ইসলাম এর স্ত্রী শাহিদা বেগম (৪০)। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ও একই এলাকার পিয়ার আলীর ছেলে এবং মাদ্রাসা ছাত্র হাবিবুর রহমান সাকিব (১৩) ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বাড়িওয়ালা সাইদের স্ত্রী আখি আক্তার জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিকট শব্দে বাড়ির নিচ তলার ডান পাশের একটি রুমের নিচে সেপটিক ট্যাংকে গ্যাস জমে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই রুমে ব্যাচেলর চারজন পুরুষ ভাড়া থাকতেন। তারা বিজয় দিবসে গ্রামের বাড়ি গিয়েছেন তাই রুমে কেউ ছিল না।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই বাড়ির পাশ দিয়ে একটি গলি সড়ক ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামের দেয়াল ঘেষে মেইন রোডে গিয়ে মিলেছে। সেই গলি সড়ক দিয়ে কয়েকজন পথচারী যাচ্ছিলেন মেইন রোডের দিকে। হঠাৎ সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে ওই বাড়ির পাশের রাস্তায় খেলাধুলা করার সময় শিশু জিসান ও বাড়িটির একটি কক্ষে অবস্থান কালে রাজ্জাক এর মৃত্যু হয়।
নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নাজমুল হোসেন বিপু জানান, বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে ৪ জন চিকিৎসা নিতে আসে। এর মধ্যে একটি শিশু (জিসান ৯ বছর) পথেই মারা গেছে। আরেক ব্যক্তি (রাজ্জাক বয়স ৩২) জীবিতই আনা হয়েছিল, কিন্তু অবস্থা খুবই খারাপ ছিলো। ওনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আরেকটি শিশুর অবস্থা বিবেচনা করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এবং মহিলাকে চিকিৎসা দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো, আসলাম হোসেন জানান, রামারবাগ এলাকায় সেফটি ট্যাংক বিস্ফোরণের খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে জিসান নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করে এবং রাজ্জাক নামে আরেক পোশাক কারখানার শ্রমিকও নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ২ জন। তারা হাসপাতালে চিকিসাৎধীন আছেন। এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করছে।