হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন দন্ডাদেশ প্রাপ্ত পলাতক আসামী মোঃ মেহেদী হাসান পাপ্পু (৩৫)কে গ্রেপ্তার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত মেহেদী হাসান পাপ্পুর বিরুদ্ধে জোড়া খুনের ঘটনাসহ তিনটি হত্যা ও দুটি মাদকসহ ৫টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রোববার (১৩) ডিসেম্বর ভোর রাতে ফতুল্লা থানার তল্লা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত পাপ্পু ফতুল্লা থানার ৬১ নং তল্লার মাহাবুব কাজীর পুত্র।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামী মোঃ মেহেদী হাসান পাপ্পুর বিরুদ্ধে ২০০১ সালের ডিসেম্বর মাসে গার্মেন্টস কর্মী রুবেল’কে তল্লা ছোট মসজিদ এলাকায় হত্যা করার অভিযোগে ফতুল্লা মডেল থানার মামলা হয়। ওই মামলার রায়ে নারায়ণগঞ্জ আদালত ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেন। রায়ের পর থেকেই আসামী পালিয়ে বেড়াচ্ছিল।
এছাড়া তার বিরুদ্ধে ২০০৪ সালের আগষ্ট মাসে তল্লা সবুজবাগস্থ নির্মানাধীন একটি ৪তলার ভিতরে মুরাদ নামক এক যুবককে হত্যা করে সেপটিক ট্যাংকীর মধ্যে লাশ ফেলে রাখার অভিযোগে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা আরেকটি হত্যা মামলা হয়। যা বর্তমানে বিচারাধীন আছে।
২০০৯ সালে নারায়ণগঞ্জ শহরের নগর খানপুর এলাকা থেকে খোকা (৪০) ও সোহাগ (৩৮) নামে দুই যুবককে হত্যা করে দাউদকান্দি থানা এলাকায় ফেলে দেয়। এই জোড়া খুনের ঘটনায় দাউদকান্দি থানায় পাপ্পুর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়।
ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, আসামী মেহেদী হাসান পাপ্পু কে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছিলো। রবিবার ভোর রাতে তাদের নিকট সংবাদ আসে যে, পাপ্পু তল্লা এলাকায় নিজ বাসায় অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মেহেদী হাসান পাপ্পুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরো বলেন গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে বিধি মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।