নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে নিখোঁজের ৫২ দিন পর মুন্সিগঞ্জে একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে যুবক রফিকুল ইসলাম রনির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত যুবক রনি ফতুল্লার লালপুরের মৃত কাজী জাহের উদ্দিনের পুত্র।
এরআগে নিহত রনির কল লিস্টের সূত্র ধরে বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার বাড্ডা থেকে তার দুর সম্পর্কের খালা রুমা (৫১) ও তার বাড়ীর গৃহপরিচারিকা আম্বিয়া (৩২)কে আটক করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবোদে তার রনিকে হত্যার কথা স্বীকার করে। এবং তাদের দেয়া তথ্যমতে, মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর থানার রামপাল গ্রামের সিকদার বাড়ী থেকে আটককৃত রুমার বাড়ীর সেপটিক ট্যাংক থেকে নিহত রনির গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
আটকৃক রুমা মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর থানার রামপাল গ্রামের সিকদার বাড়ীর জসিম খন্দকারের স্ত্রী ও গৃহপরিচারিকা আম্বিয়া ফরিদপুরের বোয়ালমারির সামাদ মিয়ার মেয়ে।
জানা যায়, গত ২ নভেম্বর রাত সাড়ে নয়টায় রফিকুল ইসলাম রনি ফতুল্লার লালপুরস্থ বাড়ী থেকে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। এ বিষয়ে রনির ভাই আমিনুল ইসলাম জনি বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরী করেন।
এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার এস আই আরিফ পাঠান বলেন, সাধারন ডায়েরীর তদন্ত করতে গিয়ে কল লিস্টের সূত্র ধরে বুধবার সকালে ঢাকার বাড্ডা থেকে প্রথমে নিহত রনির দূর সম্পর্কের খালা রুমাকে আটক করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি মতে তার বাসার গৃহপরিচারিকা আম্বিয়াকে আটক করি। এবং তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক তাদের দেখানো মতে মুন্সিগঞ্জের রামপালের সিকদারবাড়ীস্থ রুমার বাড়ীর সেপটি ট্যাংকের ভিতর থেকে নিহত রনির লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের ভাই জনি জানায়, রনি গত ২ নভেম্বর রাত সাড়ে নয়টায় বাসা থেকে বের হয়ে আর বাসায় ফিরে আসেনি।বিভিন জায়গায় খোঁজাখুজিঁ করে তাকে না পেয়ে তিনি বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় সাধারন ডায়েরী করেন।
ফতুল্লা মডেল ইনচার্জ আসলাম হোসেন জানায়, ময়নাতদন্তের পর কিভাবে রনি মারা গেছে তা জানা যাবে। নিহত রনি ও আটককৃত রুমার মধ্যে পরকীয়া সম্পর্ক ছিলো বলে তিনি জানান।