জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকারের অনুগত প্যানেলের ভরাডুবি ঘটেছে। বিজয়ী হয়েছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের অনুগত প্যানেল। বুধবার (৯ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ার পাশে সাবেক পিপি আওয়ামীলীগ নেতা আসাদুজ্জামানের নির্মাণাধীন বাড়ির নিচতলায় সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহন চলে।
ভোটগ্রহন শেষে ঘোষিত ফলাফলে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান অনুগামী প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির পেয়েছেন ১৪৭ ভোট, সেক্রেটারি পদে অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির পেয়েছেন ১৬৯ ভোট, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট আজিজুল হক হান্টু পেয়েছেন ১৫৯ ভোট, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান পেয়েছেন ১৪৫ ভোট ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন ১৫৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
অপরদিকে তৈমূর আলম অনুগামী প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ভুঁইয়া পেয়েছেন ১২৪ ভোট, সেক্রেটারি পদে অ্যাডভোকেট আজিজ আল মামুন পেয়েছেন ৯১ ভোট, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট সীমা সিদ্দিকী পেয়েছেন ১১২ ভোট, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান মোল্লা ১১৫ ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট আলী হোসাইন পেয়েছেন ১১৬ ভোট।
এ ছাড়াও এককভাবে সাধারণ সম্পাদক পদে ভোটের লড়াই করেছেন অ্যাডভোকেট সুমন মিয়া। তিনি পেয়েছেন ১০ ভোট।
নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন বিএনপিপন্থি ৩০৪ জন আইনজীবী। ভোট প্রদান করেছেন ২৭৬ জন আইনজীবী।
নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী ভুঁইয়া ও অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান।
কেন্দ্রীয়ভাবে নির্বাচনের সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন সুপ্রীম কোর্ট বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আইনজীবী ফোরামেরর ঢাকা বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত অ্যাডভোকেট মাহবুবু উদ্দিন খন্দকার ও সুপ্রীম কোর্ট বারের সদস্য ব্যারিস্টার মার-ইয়াম খন্দকার।