জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কারণে অনেক উন্নত দেশের তুলনায় বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত কম। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশ হিসেবে এগিয়ে যাচ্ছে। ৭ই মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দিবো। তার এই ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে বাঙালিরা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পরেছিলো। ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা এই স্বাধীনতা পেয়েছি। কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার পরেও মনে হচ্ছিলো কি যেনো নেই। পরে ৫ই জানুয়ারি তিনি দেশে ফিরবার পরে ভঙ্গুর দেশের হাল ধরেছিলেন।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) চাষাড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মোহাম্মদ বাদল বলেন, বিজয় আছে কিন্তু বিজয়ের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু নাই। যারা বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছেন এবং যারা বিদেশের মাটিতে পুরষ্কৃত হয়েছেন। আমরা এই বাংলার মাটিতে সেই জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার দলের মরণোত্তর বিচার চাই। রক্ত দিয়ে লেখা নাম হল বাংলাদেশ আর সেই বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের মধ্যে কোন ভেদাভেদ নাই। আর যারা করে তারা খন্দকার মোশতাকের প্রেতাত্মা।
মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি চন্দন শীল বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকরা এক মঞ্চে থাকবে। এখানে কোন বিভেদ নেই। আমরা এক জায়গায় ছুটে যাবো আওয়ামী লীগের স্বার্থে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের স্বার্থে। কিন্তু দুঃখের সাথে লক্ষ্য করছি ব্যক্তিগত রেষারেষি থেকে শুরু করে দলীয় রেষারেষি। এই যে মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য হওয়া শর্তেও আমাকে জেলা আওয়ামী লীগের প্রোগ্রামে ডেকেছেন। এই রকম সকলকে ডাকবেন। এক সাথে এক মঞ্চে বসে আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দাখিল হবো। কিন্তু একই অনুষ্ঠান দুই গ্রুপে বা তিন গ্রুপে আমরা দেখতে চাই না ও করতে চাই না।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, সাবেক সংরক্ষিত নারী সাংসদ হোসনে আরা বাবলী, জেলা সহসভাপতি মিজানুর রহমান বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর চৌধুরী বিরু, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভূইয়া সাজনু প্রমুখ।