নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন বলেছেন, বর্তমানে বাংলাদেশের বড় ব্যবসায়িক দুটি সেক্টর হচ্ছে স্কুল ব্যবসা আর হাসপাতাল বা ক্লিনিক ব্যবসা। এর চেয়ে মজার ব্যবসা আর নাই। যারা একসময় কারিগর ছিলেন মানুষ তৈরি করার আর এখন হলো স্কুল কেন্দ্রিক ব্যবসা তৈরি করার। যে স্কুলে বেশি ছাত্র সে স্কুলের বেশি উপার্জন। এসব জায়গা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
শনিবার (২৮ নভেম্বর) সকালে ফতুল্লার পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ে আলোকিত ৯৬ এর পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
শিক্ষকদের উদ্দেশ্য করে জেলা প্রশাসক বলেন, পরীক্ষা নিয়ে জিপিএ-৫ দিয়ে যে ছাত্র তৈরি করে দিয়েছেন তারা করোনাকালে নিজের বাবার লাশ রেখে অন্য জায়গায় পালিয়ে যাচ্ছে। অতএব এরকম ছাত্র আপনারা তৈরি করবেন না যারা দূরে সরে যায়। বাবার করোনা হয়েছে শুনে বাবাকে পানি পর্যন্ত দিচ্ছে না। ফেনীতে পাশের রুমে বাবা ছটফট করে মারা যাচ্ছে অথচ তার পাশে দাড়ানো তো দূরের কথা এক ফোটা তাকে পানি পর্যন্ত খেতে দেয় নাই। মারা গেছে তার লাশের খবর পর্যন্ত দেয় নাই। এসব ঘটনা দেখেছেন আপনারা। নারায়ণগঞ্জেও এরকম দুইটা ঘটনা ঘটার চেষ্টা হয়েছিলো, পরবর্তীতে তা কিন্তু ঘটেনি।
আরো পড়ুন :নারায়ণগঞ্জে ২৪ ঘন্টায় আরো ১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৬ জন
তিনি আরো বলেন, করোনা মোকাবেলায় সারা বাংলাদেশের রোল মডেল নারায়ণগঞ্জ। ওয়ার্ড কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান, মেম্বার ও সামাজিক সংগঠনগুলো কাজ করেছে এই করোনা মোকাবেলায়। সামনে শীত আসছে, আমাদের সতর্ক হতে হবে এবং বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে হবে।
এসময় আলোকিত ৯৬ সংগঠনের সভাপতি আরিফুর রহমানের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন সবুজ, কুতুবপুর ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার রোকন উদ্দিন, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের কমান্ডার এড. নুরুল হুদা, ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।