নারায়ণগঞ্জের বন্দরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় ৬জন গুরুত্বর জখমসহ ২ নারীকে শ্লীতাহানী করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আহত তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বাদী হয়ে মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) রাতে সন্ত্রাসী মিলন ও তার ভাই তারা মিয়াসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ্য করে ও ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামী করে বন্দর থানায় এ মামলা রুজু করেন।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৩ নভেম্বর বিকেল ৫টায় বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের লাউসার এলাকায়। হামলায় আহতরা হলো- তোফাজ্জল হোসেন (৪২) তৌহিদ (৪৫) শহিদ (৫৫) আরিফ (২৭) আসমা বেগম (৪০) ও রিয়া মনি (২৩)। স্থানীয় এলাকাবাসী আহতদের মারাত্মক জখম অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেছে।
জানা গেছে, বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের লাউসার এলাকার আবুল হোসেন মিয়ার ছেলে তোফাজ্জল হোসেনের সাথে একই এলাকার মৃত পিয়ার আরি মিয়ার দুই ছেলে মিলন মিয়া ও তারা মিয়ার সাথে দীর্ঘ দিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল।
এর ধারাবাহিকতায় গত ২৩ নভেম্বর সোমবার বিকেল ৫টায় প্রতিপক্ষ মিলন ও তারা মিয়া ও একই এলাকার আফজাল মিয়ার ছেলে ফেরদৌস মৃত হানিফ মিয়ার ছেলে বাচ্চু আব্দুল হানিফ মিয়ার ছেলে এরশাদ সুরুজ মিয়ার ছেলে রাজু ও একই এলাকার মিলন মিয়ার ছেলে ফয়সাল দেশিয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তোফাজ্জল হোসেনের ক্রয়কৃত সম্পত্তী দখল নিতে আসে।
আরো পড়ুন :মুন্সিগঞ্জের সাঁজাপ্রাপ্ত আসামী বন্দরে গ্রেপ্তার
ওই সময় ক্রয়কৃত জমির মালিক তোফাজ্জল হোসেন মিয়া প্রতিপক্ষ তারা মিয়া ও মিলন মিয়া গংদের বাধা দিতে গেলে ওই সময় উল্লেখিতরা ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তোফাজ্জলকে বেদম কুপিয়ে জখম করে।
আহতের আত্মচিৎকারের শব্দ শুনে তার চাচাত ভাই তৌহিদ, শহিদ ও ভাতিজা আরিফ ও ভাবি আসমা বেগম ও ভাতিজি রিয়ামনি এগিয়ে আসলে হামলাকারিা তাদেরকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখমসহ উল্রেখিত দুই নারীকে শ্লিতাহানী করে ১২ আনা ওজনের স্বার্ণের চেইন ছিনিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে বন্দর থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখ্য করে মামলা দায়ের করলেও এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত এ মামলার কোন আসামীকে গ্রেপ্তারের সংবাদ জানাতে পারেনি পুলিশ।