নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় ডিপ টিউবওয়েল কন্ট্রাক্টর মোস্তফা হাওলাদার (৪৮) খুনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গত বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাতে নিহত মোস্তফার ছোট বোন রেহানা বেগম বাদী হয়ে ৩জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি থানার বাইশ্রী গ্রামের মৃত হাসমত আলীর ছেলে মোস্তফা হাওলাদার ৩০/৩৫ বছর আগে প্রথম স্ত্রী রেহেনাকে গ্রামের বাড়ি রেখে নারায়ণগঞ্জে চলে আসেন। এরপর ১৮ বছর পূর্বে সীমা নামে আরেকজনকে বিয়ে করে একেক মাসে একেক বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করেন। সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জে ডিপ টিউবওয়েল কন্ট্রাক্টরী করার সময় দ্বিতীয় স্ত্রী সীমার বড় ভাই খালেকের স্ত্রী খায়রুনের সঙ্গে মোস্তফার পরকিয়ার সম্পর্ক হয়। এতে খায়রুন হোসিয়ারী ব্যবসা করার কথা বলে মোস্তফার কাছ থেকে বিভিন্ন সময় মোটা অঙ্কের টাকা ধারদেনা নেয়। সেই টাকা চাইতে গিয়ে খায়রুন ও মোস্তফার সঙ্গে বিরোধের সৃস্টি হয়।
১৩ নভেম্বর বিকেলে টাকা চাইতে গেলে খায়রুন ও তার ছেলে শাহজালাল তাদের দোকানের কর্মচারী জুয়েল সহ আরেকজনসহ অজ্ঞাত লোকজন নিয়ে মোস্তফাকে মারধর করে রক্তাক্ত করেন। এঘটনায় তাদের ৩জনের নামে থানায় অভিযোগ করেন মোস্তফা। এতে তারা চরম ক্ষিপ্ত হয়ে ১৮ নভেম্বর রাতে মোস্তফাকে পরিকল্পিত ভাবে ফতুল্লার গলাচিপা এলাকার আউয়াল চেয়ারম্যানের বাড়ির সংলগ্ন একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা শেষে লাশ বালুতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
এবিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন বলেন, ঘটনার পর থেকে আসামীরা আত্মগোপন করেছে। এঘটনায় মামলা হয়েছে নিহতের সমন্ধির স্ত্রী ও ছেলে এবং তাদের কর্মচারীসহ অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে। পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
আরো পড়ুন:নারায়ণগঞ্জে পরিত্যক্ত বাড়ির ভেতর থেকে এক ব্যক্তি লাশ উদ্ধার