নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৩৫/৩৬ টি টিনের তৈরি বসত ঘর আসবাবপত্রসহ পুড়ে গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টায় ফতুল্লার উত্তর নরসিংপুর-মুসলিমনগর সীমাবর্তী এলাকায় গিয়াস উদ্দিনের ভাড়াটিয়া বাড়িতে।
এসময় ঘটনাস্থলের আশপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ ও বিসিক ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রাত সাড়ে ১০ টার দিকে গিয়াস উদ্দিনের টিনের তৈরি ঘরে আগুন জলে উঠে। এক হিন্দু ভাড়াটিয়ার ঘর থেকে আগুন লেগে অল্পতেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এসময় ওই বাড়িতে বসবাসকারীদের আর্তচিৎকারে আশে পাশের লোকজন আগুন নেভাতে ছুটে আসে। এলাকার লোকজন বালু ও পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। ঘটনাস্থলে যাওয়ার রাস্তা সরু থাকায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পৌঁছাতে বিলম্ব হয়। পরে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে পারলেও এরআগেই টিনসেডের ঘরগুলো পুড়ে যায়। বাদ যায়নি আসবাবপত্র।
ক্ষতিগ্রস্থ ভাড়াটিয়া ধীজন্দ্র জানান, গিয়াস উদ্দিনের ভাড়াটিয়া বাড়িতে ৪৫ টি রুম হবে। আর এদের মধ্যে হিন্দু পরিবার হলো ১৬টি। বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার পর আগুন লাগার পর আমরা আমাদের জীবন নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে আসি। ঘরে থাকা সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ঘর থেকে বের হয়ে দেখি আমাদের ঘরে আগুন জ্বলছে।
আরো পড়ুন :নারায়ণগঞ্জে ২৪ ঘন্টায় আরো ২৯ জন আক্রান্ত
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন জানান, অগ্নিকান্ডের সংবাদ পেয়ে দ্রুত ছুটে আসলেও রাস্তা সরু থাকায় ঘটনাস্থলে পৌছাতে একটু সময় লেগে যায়। আমাদের ফায়ারসার্ভিসের তিনটি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। কিসের থেকে আগুন লেগেছে তা সঠিক ভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে বৈদ্যুতিক কিংবা কয়েল বা অন্য কোন দ্রব্য থেকে আগুন লাগতে পারে বলে ধারনা করছি। তারপরও তদন্ত করে দেখা হবে।
তিনি আরো বলেন, স্থানীয় গিয়াস উদ্দিন মিয়ার টিনের তৈরি ঘর গুলোকে আগুন লাগে। ঘরগুলো তৈরি করে ভাড়া দেয়া হলেও মানুষের চলাচলের জন্য রাস্তা খুব সরু। এতে করে ভাড়াটিয়াদের ঝুঁকি অনেক বেশি। যার কারণে অগ্নিকান্ডে ফায়ারসার্ভিসের ভিতরে প্রবেশ করে আগুন নেভানোর কাজ করতে কষ্ট হয়েছে।