জাসদের (ইনু) ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নগরীর ১নং ডিআইটি প্রাঙ্গনে শুক্রবার (৬ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাসদের উদ্যোগে সমাবেশ ও বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও মহানগর জাসদের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক মো: শাহজাহানের সঞ্চালনায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির স্থায়ী সদস্য ও যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শওকত রায়হান।
বক্তব্য রাখেন জাসদ কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ জেলা জাসদের সভাপতি মোহর আলী চৌধুরী,কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক এড.মো: সেলিম মিয়া,জেলা জাসদের সাধারন সম্পাদক একেএম ইব্রাহীম,সহ-সভাপতি মো: সৈয়দ হোসেন,মহানগর জাসদের সহ-সভাপতি মনিরুল আলম,যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এনামুল হক,সাংগঠনিক সম্পাদক জব্বার মোড়ল,মাসুদ মিয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠানমালার প্রথমপর্বে নারায়ণগঞ্জ জেলা জাসদের প্রয়াত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তারের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও দাড়িয়ে একমিনিট নিরবতা পালন এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়।
দ্বিতীয়পর্বে সমাবেশ ও নগরীতে বর্ণাঢ্য রালি বের করা হয়।র্যালিটি ডিআইটি থেকে শুরু হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
দেশে ধর্ষণ ও খুন বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধান অতিথি শওকত রায়হান বলেন, শিশু ও নারী হত্যা- ধর্ষণ-নির্যাতন কঠোর হাতে দমন করে দেশে নারীর সমঅধিকার ও সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠায় পদক্ষেপ নিতে হবে। স্বশাসিত শক্তিশালী স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা চালু করে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য প্রদক্ষেপ নিতে হবে। জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে,জঙ্গী ও আগুন সন্ত্রাসীদের কঠোর বিচার করতে হবে। যুদ্ধাপরাধী দল জামাত নিষিদ্ধ করতে হবে,সকল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে হবে।তিনি আরো বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূলের পাগলা ঘোড়া থামাতে হবে। সকল প্রকার খাদ্যের দাম মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে হবে।তিনি বলেন,১৯৭২ সালের ৩১ অক্টোবর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারন করে শোসন ও বৈশম্যমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের জন্ম হয়েছিলো।
সভাপতির বক্তব্যে মো: মোসলেম উদ্দিন আহমেদ বলেন,দুর্নীতি-দখলবাজি-ক্ষমতার অপব্যবহার বন্ধ করে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা এখন সময়ের দাবি।অবিলম্বে জাতীয় মজুরী কমিশন গঠন করে জাতীয় ন্যুনতম মজুরি ঘোষনা করতে হবে। কৃষকের উৎপাদিত ফসলের লাভজনক মূল্য নিশ্চিত করতে হবে।