“সবাই মিলে দিবো কর দেশ হবে স্বনির্ভর-”এই শ্লোগান নিয়ে নারায়ণগঞ্জ কর অঞ্চল আয়োজিত চলতি বছরের মাসব্যাপি আয়কর মেলা সফলভাবে চলছে। করোনা সংক্রমন এড়াতে কর্তৃপক্ষ সব ধরণের স্বাস্থ্যবিধি মেনে রিটার্ণ দাখিলের ব্যবস্থা করায় আয়করদাতার সংখ্যা এ বছর অনেক বেড়েছে। পাশাপাশি সরকার সুযোগ সুবিধা বাড়িয়ে দেয়ায় আয়কর প্রদানসহ রিটার্ণ দাখিলে উৎসাহিত হয়ে উঠছেন সর্বস্তরের কর্মজীবি মানুষ।
সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার সস্তাপুর এলাকায় আয়কর বিভাগের নারায়ণগঞ্জ কর অঞ্চলের প্রধান কার্য্যালয় প্রাঙ্গণে গত ১ নভেম্বর থেকে করদাতাদের জন্য মাসব্যাপী আয়কর মেলার মাধ্যমে রিটার্ণ দাখিলের ব্যবস্থা করা হয়।
আরো পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ ২৬১ আক্রান্ত ৩০
বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) সরেজমিন মেলা প্রাংগন ঘুরে দেখা যায়, সকাল নয়টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত উন্মুক্ত পরিবেশে ছয়টি বুথের মাধ্যমে কর আদায় ও রিটার্ণ গ্রহণ করছেন কর কর্মকর্তারা। পাশাপাশি উপজেলা পর্যায়ে সার্কেল অফিসগুলোতেও চলছে এই আয়োজন। প্রধান কার্য্যালয়ে সকাল থেকেই রিটার্ণ দাখিল করতে আসছেন বিভিন্নস্তরের শিক্ষক, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি ও ব্যবসায়ীরাসহ নানা শ্রেণীপেশার সব বয়সের মানুষ। সরকার এ বছর বিশেষ সুযোগ সুবিধা দেয়ায় পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও আগ্রহের সাথে তাদের আয়কর প্রদান ও রিটার্ণ দাখিল করতে উৎসাহি হয়ে আসছেন। এছাড়া কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য সচেতনার ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেয়াসহ সেবার মান বৃদ্ধি করায় করদাতারা স্বল্প সময়ে কর প্রদান করে তাদের স্বীকারপত্রও গ্রহণ করতে পারছেন।
নারায়ণগঞ্জ কর অঞ্চলের কমিশনার মো: নাজমুল করিম জানান, গত বছরের তুলনায় এবছর করোনা দুযোর্গের মধ্যেও আয়কর রির্টান দাখিল বেড়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ২৫ হাজার করদাতা রিটার্ণ দাখিল করেছেন। যার মাধ্যমে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। কর আদায়ে এ বছর আশাতীত সাফল্য অর্জনের কথা উল্লেখ করে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন কর কমিশনার।
নারায়ণগঞ্জ কর অঞ্চল আয়োজিত মাসব্যাপী এই আয়কর মেলায় আগামী ৩০ নভেম্বর সকাল নয়টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সর্বস্তরের করদাতাদের রিটার্ণ দাখিলের সুয়োগ রয়েছে।