নারায়ণগঞ্জ শহরের মিশনপাড়া মোড়ে সুপার শপ ‘স্বপ্ন’কে পণ্যের প্রকৃত ওজন ও মোট ওজন আলাদাভাবে পণ্যের লেবেলিংয়ে তা উল্লেখ করা ও ফ্রোজেন ফুডের মান সবসময় যাতে বজায় থাকে সে ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দিয়ে ‘স্বপ্ন’কে সতর্ক করেছ ভ্রাম্যমান আদালত। এছাড়া একই এলাকায় প্যারিস বাগেতকে পণ্যের লেবেলিংয়ে মূল্য টেম্পারিং ও বিদেশি পণ্যের লেবেলে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ না থাকায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রোববার (২৬ জুলাই) সকালে ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক মো. সেলিমুজ্জামানের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের পক্ষে সোহেল আক্তার, নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. শাহজাহান প্রমুখ।
অভিযানে প্যারিস বাগেতে হার্শে চকলেট সিরাপ, আল শাফি ব্র্যান্ডের মধু, চকলেটের মূল্য লেবেলিংয়ে পণ্যের আমদানিকারকের নাম না থাকায় ও হ্যাভেক্স ব্র্যান্ডের পারফিউমে মূল্য টেম্পারিংয়ের অপরাধে ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ আইনের ২০০৯ এর ৩৭নং ধারায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি সুপার শপ ‘স্বপ্ন’কে পণ্যের প্রকৃত ওজন ও মোট ওজন আলাদাভাবে পণ্যের লেবেলিংয়ে তা উল্লেখ করা ও সিঙ্গারা, পরোটা, সমুচা ইত্যাদি ফ্রোজেন ফুডের মান সবসময় বজায় ও কম্বো ফ্রুটের প্যাকেটের ক্ষেত্রে ফলগুলো যাতে সবসময় সতেজ থাকে সেদিকে লক্ষ রাখার দিকনির্দেশনা দিয়ে তাদের সতর্ক করা হয়।
অভিযান প্রসঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেট সেলিমুজ্জামান জানান, প্যারিস বাগেতকে পণ্যের লেবেলিংয়ে আমদানিকারকের নাম না থাকায় ও মূল্য টেম্পেরিংয়ের অপরাধে অর্থদন্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি ‘স্বপ্ন’কে কিছু কিছু বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিয়ে তাদের সতর্ক করা হয়েছে। আমরা কিছু ক্রেতাদের থেকে অভিযোগ পেয়েছি, যে ফ্রোজেন ফুডগুলো বাসায় গিয়ে তারা যখন রান্না করে খান তখন সেগুলোর মান ঠিক থাকে না। তাই তাদের ফ্রোজেন ফুডের মান বজায় রাখার নির্দেশনা দিয়েছি। এবং কম্বো ফ্রুটের প্যাকেটের ক্ষেত্রে ফলগুলো প্লাস্টিকে মোড়ানো থাকার কারণে ভেতরে যদি কোন পচেও যায় সেটি ক্রেতা কখনও দেখে বুঝতে পারবেন না যে ফলপি ফ্রেশ আছে কিনা। তাই আমরা তাদের বলে দিয়েছি যাতে প্লাস্টিকের মোড়কটি কম্বো ফ্রুটে ব্যবহার না করে। যাতে করে ক্রেতা সতেজ ও ভালো ফলের কম্বোটাই বাছাই করতে পারেন।