নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রধান সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কের দুইপাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করেছে জেলা পুলিশ। এই অভিযানের নাম দেয়া হয়েছে ‘অপারেশন ক্লিন সুইপ’। শনিবার (১০ অক্টোবর) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের দুইপাশে এই অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় রাস্তার পাশে থাকা অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে দেওয়া হয়। এবং ফুটপাতে ও রাস্তার পাশে অবৈধভাবে পার্ক করে রাখা গাড়ি চালকদের সতর্ক করা হয় যাতে রাস্তায় গাড়ি পার্ক না করে। সন্ধ্যার দিকে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে ফুটপাতে পার্কিং করা কয়েকটি মোটরসাইকেলের সামনের চাকার হাওয়া ছেড়ে দেয় পুলিশ। এসময় এখানে গাড়ি ও মোটরসাইকেল পার্কিং না করার জন্য সতর্ক করে দেয়া হয় পপুলার কর্তৃপক্ষকে।
দুপুরে চাষাড়া শহীদ মিনারের পাশে অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা সিএনজিগুলোকে সরে যাওয়ার নির্দেশনা দেয় উচ্ছেদ অভিযানের টিমের সদস্যরা। এসময় শহীদ মিনার ও ভাষা সৈনিক সড়কে অবৈধ স্থাপনা ও অবৈধ দোকানগুলো দুপুর ৩টার মধ্যে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) জাহেদ পারভেজ চৌধুরী। অবৈধ স্থাপনা ও অবৈধ দোকানগুলোকে বেলা ৩টা পর্যন্ত সময় দেন তিনি। এই সময়ের মধ্যে না সরালে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামানকে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে একটি ট্রাকে করে সবকিছু সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন তিনি।
উচ্ছেদ অভিযান প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) জাহেদ পারভেজ চৌধুরী বলেন, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলমের নির্দেশে এই অপারেশন ক্লিন সুইপ। অপারেশন ক্লিন সুইপের আন্ডারে শহরের যত গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো আছে সবগুলো থেকে হকারমুক্ত করবো। এবং দেখা যাচ্ছে যে যারা বৈধ দোকানদার তারাও ফুটপাতের ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ করে দখল করে বসে আছে। এগুলো আমরা মোটামুটি উচ্ছেদ করেছি। আজকে উচ্ছেদ হয়েছে কালকে থেকে মামলা হবে। জরিমানা বা মোবাইল কোর্ট না, আমরা মামলা করবো।
এসময় অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) সালেহ উদ্দিন আহমেদ, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান, নারায়ণগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ওসি আলমগীর হোসেন প্রমুখ।