নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিম তল্লায় বায়তুস সালাত জামে মসিজদেরভয়াবহ বিস্ফোরণের মামলায় মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবদুল গফুরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তবে তাকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের কোন বেগ পেতে হয়নি। তিনি ঘটনার পর থেকেই এলাকায় ছিলেন। এবং বিভিন্ন সময়ে তদন্ত সংস্থাগুলোর সঙ্গে কথা বলেছেন ও যোগাযোগ রেখেছেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) রাত ১০টার তিকে তল্লা রেললাইন এলাকায় তার বাড়ির সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। এ নিয়ে মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করলো সিআইডি।
নারায়ণগঞ্জ সিআইডি পুলিশের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. নাসির উদ্দিন বলেন, মামলার তদন্তভার গ্রহণের পর থেকেই মসজিদ কমিটির সভাপতি আবদুল গফুর ওরফে গফুর মেম্বারকে আমরা নজরদারিতে রেখেছিলাম। এতোদিন পর্যন্ত তাকে বিভিন্ন সময়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে এসেছি। আমাদের তদন্তে তার গাফিলতি এবং অবহেলার সুষ্পষ্ট তথ্য প্রমান পেয়েছি। তাই এই মামলায় আমরা তাকে গ্রেপ্তার করেছি।
সিআইডির এই কর্মকর্তা আরো বলেন, ঘটনার কারণ উদঘাটনে আমরা তিতাস, ডিপিডিসি ও মসজিদ কমিটিসহ সংশ্লিষ্টদের কার কার গাফিলতি আছে সেগুলো খতিয়ে দেখছি। ইতিমধ্যে আমরা এসব সংস্থার ১১জন গ্রেপ্তার করেছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের তদন্তে যাদের দোষ প্রমাণ হচ্ছে তাদের সবাইকে পর্যায়ক্রমে আইনের আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে এশার নামাজ চলাকালে বিদ্যুতের সর্ট সার্কিট ও গ্যাসের পাইপের লিকেজ থেকে এই মসজিদে বিস্ফোরণে প্রায় অর্ধশত মুসুল্লি দগ্ধ হন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩৪ জনের মৃত্যু হয়।