সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বাড়িমজলিশ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। নিরুপায় হয়ে গ্রামের মানুষ ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি মাড়িয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। গ্রামের ময়লা আবর্জনা যুক্ত ও বৃষ্টির পানি নামার জন্য তৈরী করা ড্রেনের মুখ বালু দিয়ে বন্ধ করে দেয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে ভুক্তভোগিরা জানিয়েছে। এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানের হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন গ্রামবাসী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাড়ী মজলিশ গ্রামের মানুষের ব্যবহৃত ময়লা ও বৃষ্টির পানি নামার জন্য গ্রামের লোকজন ব্যক্তিগত উদ্যোগে গত কয়েক বছর আগে একটি ড্রেন নির্মাণ করে। ড্রেনের পানি গ্রামের মাঝখাল দিয়ে প্রবাহিত একটি নিচু ব্যক্তিগত খালে ফেলা হতো। গত কয়েকদিন আগে খালটি বালু দিয়ে ভরাট করার কারনে ড্রেনের পানি নামতে না পারার বাড়ী মজলিশ গ্রামে কয়েকটি স্থানে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে বাড়িমজলিসের কয়েকটি স্থান পানিতে তলিয়ে যায়।এতে পানি বন্দি হয়ে ভোগান্তীতে পড়ে ওই এলাকার মানুষ।
বাড়ি মজলিশ গ্রামের জামান প্রধান বলেন, গ্রামের ভেতর দিয়ে সরকারি দুটি খাল ছিল যা দিয়ে বর্ষা ও বৃষ্টির পানি নেমে যেত। খাল দুটি এখন আর নেই, যে যার মতো করে খালের উপর পাকা বাড়িঘর নির্মাণ করে বসবাস করছেন।
একটি খাল গ্রামের মাষ্টার বাড়ি থেকে বাড়িমজলিস হাফেজিয়া মোহামমদীয়া মাদ্রাসা পর্যন্ত ছিল। যার প্রসস্ত ছিল ১৭ থেকে ২৫ ফুট পর্যন্ত। আরেকটি খাল ছিল সোনারগাঁও ফজলুল হক উইমেন্স কলেজের মূল গেট থেকে বাড়িমজলিস হাফেজিয়া মোহামমদীয়া মাদ্রাসা পর্যন্ত যা ২৫ থেকে ৩৫ ফুট প্রশস্ত ছিল। এই খালটিও বিভিন্ন প্রভাবশালী মহল দখল করে বিল্ডিং তৈরি করে বসবাস করছেন। এই দখল বানিজ্যের ফলে এলাকার সকল ড্রেনেজ ব্যবস্থা প্রায় অচল হয়ে গেছে। বাড়িমজলিস গ্রামের রাস্তাঘাট দেখলে বোঝার উপায় নেই রাস্তাঘাট নাকি কাঁদা মিশ্রিত ডোবা-নালা। এই পানি বন্দি ও রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য বাড়ামজলিস এলাকার সাধারণ মানুষ স্থায়ীয় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান।
মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু জানান, জলবদ্ধতার ব্যাপারে এলাকাবাসী আমাকে জানিয়েছেন আমি যারা তাদের জায়গা ভরাট করেছে তাদের সাথে কথা বলেছি। এখন এলাকাবাসীর সুবিধার্ধে মোটা পাইপ দিয়ে পানি নামার ব্যবস্থা করতে হবে।