নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিম তল্লায় বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় চিকিৎসাধীন আরও ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম শাহাদাত হোসেন সিফাত (১৯)। তার বাড়ি ফতুল্লার পশ্চিম তল্লায়। মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। এ নিয়ে ওই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন পার্থ সংকর পাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পার্থ সংকর পাল জানান, বিস্ফোরণের ঘটনায় সিফাতের শরীরের ৫০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিলো। তিনি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিল। হাসপাতালে এখন চিকিৎসাধীন আছেন দুইজন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন
মসজিদে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- ইমাম আবদুল মালেক আনসারী (৬০), মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৮) ও তার ছেলে জুনায়েদ (১৭), দুই ভাই জোবায়ের (১৮) ও সাব্বির (২১), কুদ্দুস ব্যাপারী (৭২), মোস্তফা কামাল (৩৪), রাশেদ (৩০), হুমায়ুন কবির (৭২), জামাল আবেদিন (৪০), ইব্রাহিম বিশ্বাস (৪৩), মো. রিফাত (১৮), মাইনুউদ্দিন (১২), ফতুল্লার জয়নাল (৩৮), নয়ন (২৭), নিজাম (৩৪), রাসেল (৩৪), কাঞ্চন হাওলাদার (৫০), শিশু জুবায়ের (৭), নাদিম (৪৫), বাহার উদ্দিন (৫৫), শামীম হাসান (৪৫) জুলহাস (৩৫), মোহাম্মদ আলী (৫৫), আবুল বাশার মোল্লা (৫১), মনির ফরাজি (৩০), ইমরান হোসেন (৩০), হান্নান (৫০), আব্দুস ছাত্তার (৪০), শেখ ফরিদ (২১) ও নজরুল ইসলাম (৫০), আব্দুল আজিজ (৪০) ও শাহাদাত হোসেন সিফাত (১৯)।
গত শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার বাইতুস সালাত মসজিদে বিস্ফোরণ হয়। মসজিদের নিচে গ্যাসের লাইনে লিকেজ থেকে গ্যাস বের হয়ে এই বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানিয়েছেন তিতাসের তদন্ত কমিটি ।