নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে সবশেষ মারা গেছেন আব্দুল হান্নান সাউদ (৫০) । তিনি মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। চারদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। তার শ্বাসনালীসহ ৮৫% পুড়ে যায় এবং তিনি ডায়াবেটিসের রোগী ছিলেন।
নিহত ২৮ জন হলেন: মসজিদের মসজিদের ইমাম মো. আব্দুল মালেক আনসারী (৬০) ও তার শিশু পত্র জুনায়েদ (৭), মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেন (৪৫), মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান সাউদ (৫০), মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষ শামীম হাসান (৪৮), নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের স্টাফ নুরুদ্দিনের দুই ছেলে সাব্বির (২২) ও জুবায়ের (১৪), ফটো সাংবাদিক নাদিম আহমেদ (৪৫), জামাল (৪০), হুমায়ূন কবির (৭০), মোস্তফা কামাল (৩৪), ইব্রাহিম (৪৩), রিফাত (১৮), জুনায়েদ (১৭), কুদ্দুস বেপারী (৭২), রাশেদ (৩০), জয়নাল (৫০), মাইনুদ্দিন (১২), শুক্কুর আলী নয়ন (২৭), কাঞ্চন হাওলাদার (৫০), রাসেল (৩৪), মো. বাহাউদ্দীন (৫৫), মিজান (৩৪), জুলহাস বেপারী (৩০), মোহাম্মদ আলী মাস্টার (৫৫), আবুল বাশার মোল্লা (৫১) ও মনির ফরাজি (৩০), ইমরান হোসেন (৩০) ।
শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন পার্থ সংকর পাল জানান। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ৮জন হচ্ছেন-ফরিদ (শ্বাসনালীসহ ৫০% পোড়া), শেখ ফরিদ (শ্বাসনালীসহ ৯৩% পোড়া), মো. কেনান (শ্বাসনালীসহ ৩০% পোড়া), নজরুল ইসলাম (শ্বাসনালীসহ ৯৪% পোড়া), সিফাত (শ্বাসনালীসহ ২২% পোড়া), আবদুল আজিজ (শ্বাসনালীসহ ৪৭% পোড়া), হান্নান (শ্বাসনালীসহ ৮৫% পোড়া এবং ডায়াবেটিসের রোগী), আবদুল সাত্তার (শ্বাসনালীসহ ৭০% পোড়া) এবং আমজাদ (শ্বাসনালীসহ ২৫% পোড়া)।
গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকের এ বিস্ফোরণে অর্ধশতাধিক মানুষ অগ্নিদগ্ধ হন। এর মধ্যে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ প্রাথমিকভাবে মনে করছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট ও গ্যাস পাইপলাইনের লিকেজ থেকে গ্যাস জমে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।