নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিম তল্লায় মসজিদে বিস্ফোরণে এত মৃত্যুর দায় নিয়ে এক প্রশ্নে জবাব দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন এমপি শামীম ওসমান।
শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে একটি বেসরকারি টিভির টকশোতে ওই ঘটনায় নিহতদের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি কেঁদে ফেলেন।
শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে মসজিদের এসি বিস্ফোরণ হয়ে ৩৭ জন দগ্ধ মুসুল্লি জাতীয় শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন। এর মধ্যে রোববার সকাল পর্যন্ত ২৩ জন মারা গেছেন।
বিস্ফোরণের ঘটনায় এত মৃত্যুর দায় কার-এমন প্রশ্নের জবাবে টকশোতে শামীম ওসমান বলেন, দায়ের কথা বলছেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে যখন রওনা দিলাম, তখন শুলনাম ১১ জন মারা গেছে। বাড়িতে আসতে আসতে হয়ে গেল ১৮ জন।
এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘আপনাকে আমি কীভাবে প্রশ্নের উত্তর দেব? আমি সেটা ঠিক জানি না। শামীম ওসমান আরো বলেন, এই এলাকাটাতো আমার, ওই এলাকার মানুষ সবাইকে চিনি। একটা ছোট্ট বাচ্চা জুবায়ের নাম, সাত বছরের বাচ্চা। তার সুন্দর চেহারা, বাবার সঙ্গে নামাজ পড়তে গেছে, মাকে বলেছে যে, মা টেলিভিশন বন্ধ করো না, এসে দেখব। এটা বলেই কাঁদতে থাকেন শামীম ওসমান।
এরআগে শনিবার বেলা দেড়টার দিকে বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল ওই মসজিদে যান শামীম ওসমান। সেখানে বিধস্ত মসজিদ দেখে বিমর্ষ হয়ে পড়েন তিনি। সেখানে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, এসি থেকে এমন র্দুঘটনা ঘটতে পারে না। তিনি নাশকতার আশংকা প্রকাশ গভীরতম তদন্ত দাবি করেন।