বন্দরে যুবলীগ নেতার ছেলেকে কোকের সাথে বিষাক্ত দ্রব্য সেবন করিয়ে হত্যার অভিযোগ এনে ৪দিন পর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের বাবা আব্দুস সোবহান বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে বন্দর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় নিহত মহিন আহম্মেদের দুই বন্ধুসহ তিনজনকে আসামী করা হয়েছে। মামলার আসামীরা হলো, বন্দর থানার মদনপুর ইউনিয়নের আন্দিরপাড় এলাকার সামছুল হক মিয়ার ছেলে আল-আমিন (২৮) ও একই এলাকার আনন্দ(৩২)।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, যুবলীগ নেতার ছেলে মহিন আহম্মেদকে গত ৩০ আগষ্ট দুুপুরে আল আমিন, আনন্দসহ অজ্ঞাত নামা আরো এক বন্ধু পরিকল্পিত ভাবে হত্যার করার জন্য ধামগড় ইউনিয়নের ভাংতি এলাকাস্থ তার নিজ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে আল আমিন তাকে তার শ্বশুর বাড়ি পাশ্ববর্তী সোনারগাঁ উপজেলার০ কুতুব বাজার এলাকায় নিয়ে যায়। পরে উল্লেখিত বন্ধুরা মহিনকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করার জন্য কাকের সাথে বিষাক্ত দ্রব্য সেবন করায়। এক পর্যায়ে মহিন বাড়িতে এসে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় তার আত্মীয় স্বজনরা ওই রাতেই মহিনকে মদনপুর বারাকা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি দেখা দিলে ভোর ৪ টার দিকে ঢাকার মিডফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩১ আগষ্ট দুপুরে মহিন মারা যায়।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফখরুদ্দীন ভূঁইয়া জানান, সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের কুতুবপুর বাজার এলাকায় ঘটনাটি ঘটলেও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিদের্শে অবশেষে বন্দর থানায় মামলা নেয়া হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্যুর রহস্য বেরিয়ে আসবে। মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।