বন্দরে গৃহবধূ নিপা হত্যা মামলার আসামীদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে চর-ঘারমোড়া ও ঘারমোড়া এলাকাবাসী। বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় চর-ঘারমোড়া এলাকাবাসী ব্যানারে বন্দর উপজেলা চত্বর ও বন্দর থানার সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
এসময় তারা নিপা হত্যা মামলার আসামী স্বামী সজল, শ্বশুর নাসের, শাশুড়ী আক্তারী বেগম, ভাসুর মুন্না ও দেবর অনিকের ফাঁসির দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়।
পরে বন্দর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোঃ শফিকুল ইসলাম বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, পুলিশের তৎপরতার কারণে নিপা হত্যা মামলার আসামীরা আদালতে আত্মসমাপর্ন করতে বাধ্য হয়েছে। আমরা আসামীদের রিমান্ডে এনে নিবিড় ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। আপনারা বিক্ষোভ না করে মামলার তদন্তের স্বার্থে পুলিশকে সহযোগিতা করুন। আমরা আসামীদের সর্বোচ্চ শাস্তি যাতে হয় সেই ব্যবস্থা করব।
বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন নিহত গৃহবধূর পিতা আলম চাঁন, বড় ভাই মোহাম্মদ হোসেন রাজিব,ছাফ্রন্টের নেত্রী মুন্নী আক্তার, সেচ্ছাসেবকলীগের নেতা সাইদুর রহমান জিএম, আলামিন,পিয়ার, শহিদুল, সফিকুল, রিফাত, হৃদয়, সেতেরা বেগম, পারুল বেগম, মমতাজ বেগম, এমিলি বেগম, শিরিন বেগম, পলি বেগম, রেসিনা বেগম, নাহিদা বেগম, রুমা বেগম, রুনা বেগম, জুমা বেগম, জাহানার বেগম, নূর বানুসহ স্থানীয় এলাকার সাধারন জনগন।
প্রসঙ্গত, গত ৩ বছর পূর্ব বন্দর উপজেলার দক্ষিন চর-ঘারমোড়া এলাকার নাসের মিয়ার ছেলে সজলের সাথে একই এলাকার আলম চাঁন মিয়ার মেয়ে নিপা আক্তারের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে একটি সন্তান রয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় গত ১ সেপ্টেম্বর যৌতুকের দাবিতে যৌতুক লোভী স্বামী, শশুড়, শাশুড়ী ভাসুর ও দেবর ক্ষিপ্ত হয়ে গায়ে কেরসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায়। পরে অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূ ৫ দিন মৃত্যুর সাথে লড়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।