নারায়ণগঞ্জের বন্দরে পারিবারিক কলহের জের ধরে নিপা আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধুকে কেরোসিন তেল ঢেলে গায়ে অগ্নিসংযোগ করে হত্যার চেষ্টা চালোনোর অভিযোগ পাওয়া গেছে ঘাতক স্বামী সজলসহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (১সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টায় বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিন চরঘারমোড়া এলাকায়। গৃহবধূর চিৎকারে শব্দ পেয়ে প্রতিবেশীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে এসে মুমুর্ষ অবস্থায় গৃহবধূকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে।
পরে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিকেল ৩টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ব্যাপারে অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূর পিতা আলম চাঁন মিয়া বাদী হয়ে ঘাতক স্বামীসহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূর মা রিনা বেগম গনমাধ্যমকে জানান, গত ৩ বছর পূর্বে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিন চরঘারমোড়া এলাকার নাসের মিয়ার ছেলে সজলের সাথে তার মেয়ে নিপা আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের সাংসারে ১ বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে স্বামী সজল ও শ্বশুর নাসের ও শাশুড়ি আক্তারী বেগম, ছেলে মুন্না ও অনিক প্রায় সময়ে যৌতুকের জন্য তার মেয়েকে নানা ভাবে নির্যাতন করে আসছে। যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় সজল অন্য একটি মেয়ের সাথে পরকিয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে পরে। সজলের পরকিয়া প্রেমের বিষয়টি তার মেয়ে নিপা আক্তার জানতে পারলে এ নিয়ে তাদের সংসারে ঝগড়া শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার দুপুরে স্বামী সজল, শ্বশুর নাসের, শাশুড়ি আক্তারী বেগম, ছেলে, মুন্না ও অনিক তার মেয়েকে বেদম পিটিয়ে হত্যার জন্য গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করে পালিয়ে যায়। বর্তমানে তার মেয়ের অবস্থা আশংকাজনক। এ ব্যাপারে বন্দর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চালাচ্ছেন বলে জানান তিনি।