নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার ওসি নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করেছেন একটি ধর্ষণ মামলার বাদী। অভিযোগে উল্লেখ করা হয় ধর্ষণ মামলা প্রত্যাহারে ব্যার্থ হয়ে ধর্ষণকারীর যোগশাযোশে ওসি হয়রানী করতে বাদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মারপিটের মামলা নিয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এ অভিযোগ করেছেন ধর্ষন মামলার বাদী শামসুল নামে এক কৃষক।
তবে ওসি মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বাদীর অভিযোগ মিথ্যা দাবী করে বলেন, পুলিশ সুপারের কাছে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি শুনেছি। কিন্তু আইন সবার জন্য সমান। ধর্ষণ মামলার বাদী ও তার তিন ভাই মিলে এক ছেলেকে মারপিট করে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। ওই ছেলে এখন হাসপাতালে ভর্তি। তদন্ত করে ঘটনা সত্য পেয়েছি তাই মামলা নিয়েছে। ধর্ষণ মামলার বাদী চেয়েছিল যাতে মামলাটি না নেই। কিন্ত আমি তার অনুরোধ শুনিনি তাই তিনি সুবিধা না পেয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে।
ধর্ষণ মামলার বাদী শামসুল জানান, আমার শিশু মেয়েকে ১৫ মাস পূর্বে কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের হাজীরটেক গ্রামের সিরাজ মিয়া ওরফে সেরন মিয়ার ছেলে আলাউদ্দিন তার মুদি দোকানে ধর্ষন করেছে। এঘটনায় মামলা হলেও পুলিশ এপর্যন্ত ধর্ষককে গ্রেফতার করেনি। ধর্ষক আলাউদ্দিন তার শশুর কাশেম, সাহাবুদ্দিন, শাহ আলম, ফারুক, রাজন, দুলাল, আহসান উল্লাহ, আমান উল্লাহ, আব্দুল হালিম, দেলোয়ার, তোতা, ও আতাউল্লাহসহ তাদের আরো ১০/১৫ জন সহযোগী নিয়ে প্রায় সময় আমার বাড়ি গিয়ে ধর্ষণ মামলা প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দিতেন। বিষয়টি আমি ওসিকে জানালে তিনি উল্টো বলতেন স্থানীয় ভাবে আপোষ মিমাংসা করেন। এতে আমি হতাশ হতাম।
আরও পড়ুন ‘ঘুষ মুক্ত পুলিশ চান নারায়ণগঞ্জ এসপি‘
তিনি আরো জানান, উল্লেখিতরা সকলে দলবদ্ধ হয়ে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে ১১ আগষ্ট সন্ধ্যায় হাজীরটেক দুলাল মিয়ার বাড়ির সামনে কাঠের লাঠি, লোহার রড ও দেশীয় ধারালো অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আমার উপর হামলা করে। আমাকে পথরোধ করে এলোপাথারী মারধর করতে থাকে। তারা আমার মাথায় কয়েকবার ধারালো দা দিয়ে কোপ দেয়ার চেষ্টা করে আমি প্রতিবারই হাত দিয়ে ফিরাই। এক পর্যায়ে আমার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে বিবাদীরা পালিয়ে যায়। তখন আশঙ্কাজন অবস্থায় এলাকাবাসী আমাকে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। আমার উপর হামলা ও মারধরের বিষয়টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ওসিকে ফোনে জানাই। এরপর অভিযোগও করেছি কিন্তু কোন ব্যবস্থা না নিয়ে ধর্ষকদের পক্ষে একটি মিথ্যা মামলা নিয়েছে ওসি। আমি এর বিচার চাই। নয়তো স্ত্রী ও ৫ সন্তান নিয়ে আত্মহত্যা করবো।