আলামিন ভুইয়া সোহেল। একজন ব্যবসায়ি। গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ হলেও পরিবার নিয়ে বাসবাস করছেন ঢাকায়। মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) বেলা ১১টায় ঢাকা থেকে বাস যোগে এসে নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া জিয়া হলের সামনে নামেন। উদ্দেশ্য যমুনা ব্যাংকের একটি শাখায় যাবেন। একটি রিকশায় উঠতেই ৪ যুবক তার রিকশা ঘিরে ধরে। মুহুর্তে আরও ৭/৮জন। এরমধ্যে একজন চাকু (ধারালো ছোরা) বের করে বলে যা আছে সব দেন। ভদ্রলোক আকস্মিক এমন পরিস্থিতিতে ঘাবড়ে যান। ভীত গলায় বলেন আমার কাছে কোন টাকা নেই। তখন যুবকরা চেঁচিয়ে বলে কথা কম, টাকা বের করেন। এক পর্যায়ে ভদ্রলোক তার মানি ব্যাগ বের করে দেখান তাতে ৫০ টাকা আছে। পরে কি আর করা, যুবকরা বলে ৫০ টাকাই দেন। এবং ছো মেরে ভদ্রলোকের হাত থেকে ৫০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে সবাই ছড়িয়ে ছিটিয়ে সটকে পড়ে। বিষয়টি ভদ্রলোক ঢাকায় গিয়ে তার কলিগদের জানান। পরে তার এক কলিগ এই প্রতিবেদককে ফোন করে ঘটনাটি অবহিত করেন। এই প্রতিবেদকের প্রশ্ন ছিল বিষয়টি পুলিশকে জানায়নি কেন? তখন ভুক্তভোগি ভদ্র লোক বলেন যেহেতু মাত্র ৫০ টাকা নিয়েছে বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি, তাছাড়া পুলিশের কাছে গেলে তো নতুন করে ঝামেলায় পড়তে পারি। তাই ঢাকায় ফিরে আসছি। তাছাড়া যুবকরা চাকু হাতে আমার সাথে যা করছিল দুর থেকে বিষয়টি অনেক পথচারী প্রত্যক্ষ করলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। এতে অনুমান হয় এই যুবকরা আশপাশের সবার পরিচিত।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে একটি ছিনতাইকারী (যুবকরা) চক্র দীর্ঘদিন ধরে চাষাড়া জিয়া হল সংলগ্ন ওষুধের দোকান রনি ফার্মার সন্নিকটে ওৎ পেতে থাকে। সুযোগ মতো কোন পথচারী বা বাস থেকে নামা কোন যাত্রীর উপর ঝাপিয়ে পড়ে। এমন ভাবে ওই পথচারী বা বাস যাত্রীকে ঘিরে ধরে যেন কেউ দুর থেকে বুঝতে না পারে আসলে কি হচ্ছে। তারা নিজেরাই ১০/১২ জন ভুক্তভোগিকে ঘিরে রাখে। মূলব্যান জিনিস পত্র ছিনিয়ে নেয়ার পর যে যার মতো ছড়িয়ে পড়ে। দিনে-দুপুরে প্রকাশ্যে চক্রটি মানুষের মালামাল ছিনিয়ে নিচ্ছে। অথচ ঘটনাস্থলের পাশেই চাষাড়া ট্রাফিক পুলিশ বক্স। কিন্তু কে রুখবে এই ছিনতাইকারীদের?