ফাইল আটকিয়ে ঘুষ চাওয়ার প্রতিবাদ করায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা জামাল মোল্লাকে লাঞ্চিত করার অভিযোগে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল মামুনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশে সোমবার (৩১ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধ জামাল মোল্লার সাক্ষী গ্রহন করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ সেলিম রেজা।
সাক্ষী প্রদান শেষে মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জামাল মোল্লা বলেন, ‘এক ইঞ্চি জমিও যাতে অনাবাদি না থাকে’ প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণা অনুসারে চাষাবাদের জন্য মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ভাগলপুর গ্রামে আমার জমির পাশে একটি অনাবাদি ও অকৃষি জমির বন্দোবস্ত পেতে সোনারগাঁ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে একটি আবেদন করেছি। আবেদনের পর র্দীঘ ৬ মাসের অধিক সময় ধরে আমার আবদেনটি ভূমি অফিসেই পরে থাকে। এ বিষয়ে খোঁজ নিতে গেলে ওই অফিসের সার্ভেয়ারের সহযোগী হিসেবে কাজ করা ওমেদার মোঃ সোহাগ কাজ করিয়ে দেয়ার কথা বলে আমার কাছে ১ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন।
তিনি আরো বলেন,গত ১৬ জুলাই ভূমি অফিসে গিয়ে ফাইল আটক ও ঘুষ চাওয়ার বিষয়টি প্রতিবাদ করি। এসময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল মামুন আমাকে অপমান করে ওই অফিস থেকে বের করে দেন। এবিষয়ে মন্ত্রিপরিষদে অভিযোগ করেছি। তদন্তে যা জিজ্ঞেস করেছে তার জবাব দিয়েছি।
তবে মুক্তিযোদ্ধা জামাল মোল্লার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সোনারগাঁও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল মামুন।
এবিষয়ে তদন্তের দায়ীত্ব পাওয়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ সেলিম রেজা বলেন, সাক্ষী নিয়েছি। তদন্ত চলছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।